বুটেক্সে ফরম ফিলআপ, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও প্রতিকার

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপ এবং হল ও লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। একটি আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রচলিত সময়সাপেক্ষ পদ্ধতিকে পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।

বর্তমান পদ্ধতিতে, শিক্ষার্থীদের সশরীর উপস্থিত হয়ে ফরম পূরণ করতে হয় এবং হল ও লাইব্রেরি অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসতে হয়, এ মর্মে যে ধার করা বই ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং হলের সব ফি পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু এই অ্যানালগ পদ্ধতিটি সময়সাপেক্ষ, ত্রুটিপ্রবণ এবং শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়কর্মী—উভয়ের জন্যই অসুবিধাজনক।

এই সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রচলিত পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা এবং ডিজিটাল প্রক্রিয়ার দিকে স্থানান্তর করা অপরিহার্য।

প্রচলিত পদ্ধতির আধুনিকায়নের জন্য সমাধান হতে পারে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ফরম ফিলাপ, হল ও লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্সের আবেদন এবং আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ করতে পারবেন। বাংলাদেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পদ্ধতিতে তাদের এ–জাতীয় কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে। এ ধরনের একটি ডিজিটাল সমাধান কার্যকর করা গেলে প্রক্রিয়াকরণের সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং ফরম ফিলআপের সময় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঝামেলাবিহীন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

এই আধুনিকীকরণ উদ্যোগটি কার্যকর করার জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে অথবা বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে এবং সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। নতুন পদ্ধতির সফলতা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সবাইকে নতুন পদ্ধতিটি সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ সেশন ও নির্দেশিকা প্রদান করে পদ্ধতিটির সঙ্গে পরিচিত করতে হবে।

বিদ্যমান সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা, ঢাকা-১২০৮