সিট সংকটে ভুগছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর কাছে জীবনের প্রথম অর্জিত নিজস্ব আবাসস্থল। ভর্তিযুদ্ধ থেকেই হল জীবন উপভোগ নিয়ে স্বপ্ন থাকে হাজারো শিক্ষার্থীদের। অথচ পর্যাপ্ত সিট না থাকায় রীতিমতো ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য হল সমস্যা একটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো শিক্ষার্থী উঠে আসে। দূর দূরান্ত থেকে উঠে আসা এসব শিক্ষার্থীদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা সংকটাপন্ন, যাদের থাকার একমাত্র ভরসাই আবাসিক হল। অথচ বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের জন্যই নেই পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা।

একাধিকবার সিটের জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও কোনো সিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফেরত যেতে হয় অনেককে। এ ছাড়াও হলে অবস্থানকালীন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দ্বিতীয়/তৃতীয় বর্ষ চলাকালীন সময়েও সিট না পেয়ে গণরুমে কাটাচ্ছে। এ দিকে প্রশাসনের এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শিক্ষার্থীদের বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও প্রশাসন সিট সমস্যা নিরসনে দ্রুত কোনো নতুন হল বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে না।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হলে অনেকেই জানায়, ‘দুই বছর ধরে সিটের জন্য আবেদন ও সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরও হল-অফিসে গেলে সিট নেই বলে বারংবার ফেরত পাঠিয়ে দেয়। অথচ অনেকেরই পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরও অনৈতিকভাবে তারা হলে রয়ে গেছেন যে বিষয়ে প্রশাসনের কোনো দৃষ্টি নেই।’
শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসনে প্রশাসনের উচিত নির্মাণাধীন হলগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা ও নতুন আরও কিছু হল নির্মাণ করা। এ ছাড়াও কোনো রূপ অনিয়ম বা দুর্নীতির ছায়াতল ছাড়াই সকল শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা নিরসন করতে উত্তরোত্তর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

আইরিন সুলতানা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়