নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক প্রকল্প কবে শেষ হবে

প্রকল্প শুরুর ছয় বছর পার। তবু শেষ হয়নি নোয়াখালী-কুমিল্লা চার লেন প্রকল্পের ৯ কিলোমিটার সড়কের চার লেনের নির্মাণকাজ। এর মধ্যে লাকসাম বাজার ও বাগমারা বাজার পয়েন্টের সাড়ে ৬ কিলোমিটার অংশে চার লেনের কাজ শুরুই করা যায়নি। ফলে লাকসাম বাজার ও বাগমারা বাজার এখন মহাসড়কটির ‘গলার কাঁটা’।

নির্মাণকাজের ধীর গতির কারণ হিসেবে জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতাকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে গত ২০২৩ সালের ৩০ জুনে।

একনেকে ২১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর ২০১৮ সালে নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কের ৭৩ কিলোমিটার মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হয়। চার লেন পুরোপুরি চালু হলে স্বল্প সময়ে পৌঁছানো যাবে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার পাঁচ জেলায়। কথা ছিল ২০২১ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত সড়কের লাকসাম বাজার অংশের সাড়ে ৫ কিলোমিটার,  চন্দনা বাজার অংশে ৫০০ মিটার, শানিচো এলাকায় ২ কিলোমিটার এবং বাগমারা বাজারের অংশে ১ কিলোমিটারসহ এই ৯ কিলোমিটারের কাজ বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে সড়ক বিভাগ।

প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। লাকসাম ও বাগমারা বাজারের অংশের পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। বিশেষ করে ঈদ এলে পরিস্থিতি জটিল রূপ নেয়। কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। নোয়াখালী-কুমিল্লা অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সড়কের লাকসাম ও বাগমারা বাজার।

অবিলম্বে লাকসাম বাজার এবং বাগমারা বাজারের বাইরে দিয়ে নতুন অ্যালাইনমেন্টে চার লেনের সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করা হোক এবং এই পথে যাতায়াতকারী লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ এম সাইদ
স্টেডিয়াম পাড়া, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী।