মাধ্যমিক শিক্ষা কেন জাতীয়করণ করা হয় না?

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে
ছবি : প্রথম আলো

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে গত কয়েক দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দেশে ২০ হাজার ৯৬০টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিপরীতে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৮৪টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি। শিক্ষক রয়েছেন সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ।

শিক্ষকেরা যে পরিমাণ বেতন–ভাতা পেয়ে থাকেন, তা দিয়ে পরিবার চালানো বেশ কষ্টসাধ্য—মাধ্যমিক শিক্ষকদের এই আহাজারি দীর্ঘদিনের। এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই কারিকুলামের অধীনে থেকেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে।

শুধু মাধ্যমিক শিক্ষা নয়, সব শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা প্রয়োজন। এতে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত হবে। শিক্ষকদেরও দীর্ঘদিনের দুর্দশার অবসান ঘটবে।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর সেই শিক্ষাকে পরিচর্যা ও পরিপক্ব করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিস্থাপিত করেন শিক্ষকেরা। সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতের কর্ণধার হন শিক্ষার্থীরা।

এক গবেষণায় দেখা যায়, মানসম্মত শিক্ষার ১৫ শতাংশ নির্ভর করে অনুকূল পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ওপর। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে শিক্ষকের ওপর। কিন্তু শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষা প্রসারের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি প্রয়োজন। অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া শিক্ষকদের কাছ থেকে মানসম্মত শিক্ষা আশা করা যায় না।

তাই সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে মাধ্যমিক শিক্ষাসহ সব শিক্ষা জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের মানসম্মত বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। শিক্ষকেরা আমাদের সমাজের আলোকবর্তিকা। শিক্ষকদের আলোকবর্তিকার মতো জ্বলতে দিলে সমাজও আলোকিত হবে।

মো. মারুফ হাসান ভূঞা

শিক্ষার্থী ফেনী সদর, ফেনী