সাইবার বুলিং

চিঠিঅলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

বর্তমান যুগে মুঠোফোন, কম্পিউটার ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানিও। সাইবার বুলিং বলতে অনলাইনে কাউকে হুমকি দেওয়া, গালাগালি করা, অপমান করা বা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার মতো কর্মকেই বোঝায়। স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সমস্যার শিকার সবচেয়ে বেশি। অনেক সময় তাদের ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ভুক্তভোগীদের ওপর তীব্র মানসিক চাপ তৈরি করে।

সাইবার বুলিংয়ের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষাজীবনকে ব্যাহত করে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাস হারায়, পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায় এবং শিক্ষার অগ্রগতিতে স্থায়ী ক্ষতি ঘটে। তাই শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় মানসিক সহায়তা দিতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং সেবা চালু করা এখন অপরিহার্য।

শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাইবার বুলিং প্রতিরোধে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

বুলবুলি হাঁসদা

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মাছে রাসায়নিক

মাছে-ভাতে বাঙালি আমরা। মাছ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অন্যতম প্রধান উপাদান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বর্তমানে বাজারে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে। অনেক ব্যবসায়ী মাছ তাজা দেখানোর জন্য ফরমালিনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

নিয়মিত বাজার তদারকি ও কঠোর আইন প্রয়োগের অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারেন না—কোন মাছটি ভেজাল বা রাসায়নিকে ভেজা। ফলে তাঁরা অজান্তেই এসব বিষাক্ত মাছ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।

এ অবস্থায় সরকারি সংস্থার কঠোর নজরদারি, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই মাছের বাজারে রাসায়নিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা—সরকার, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা—সবার যৌথ দায়িত্ব।

কাজী মাধুর্য রহমান

শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়