সুন্দরীকে বাঁচাতে হবে

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত।

বড় বড় ঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর ম্যানগ্রোভে ধাক্কা খেয়ে গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। আর তাতেই বেঁচে যায় দুই বাংলার উপকূলের বিশাল অঞ্চল ও তার আশপাশের অঞ্চলগুলো। যে ‘সুন্দরী’গাছ সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। দেশের স্বার্থে তাই সুন্দরবনকে বাঁচাতেই হবে।

পূর্বপ্রজন্ম দেশের বনাঞ্চলসহ বহু বনাঞ্চল উজাড় করেছে। এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এটাই আমাদের অনুরোধ। ‘খাইছি বনাঞ্চল—এবার খামু সুন্দরবন।’এ খাই খাইওয়ালাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

ম্যানগ্রোভই সুন্দরবনের প্রাণ। ম্যানগ্রোভ না বাঁচলে বাঁচবে না সুন্দরবন। তাই সরকারি প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে বসে না থেকে জনসাধারণের নিজ নিজ উদ্যোগেই ম্যানগ্রোভ রোপণ করতে হবে।

জানা গেছে, পর্যটক টানতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হচ্ছে সুন্দরবনকে। সুন্দরবনজুড়েই চলছে নাকি ম্যানগ্রোভ নিধন।

বিঘার পর বিঘা জমিতে ম্যানগ্রোভ কেটে চলছে মাছের ভেড়ি তৈরির কাজ। তৈরি হচ্ছে বসতবাড়ি, হোটেল, রিসোর্ট। অবৈধ মাছের ভেড়ি যেন গিলে খাচ্ছে সুন্দরবনকে।

অথচ এই ম্যানগ্রোভই তো দুই বাংলার নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচায় প্রতিনিয়ত।

গরান, বাইন, কেওড়া, সুন্দরী, গেওয়া প্রভৃতি গাছগুলো সুন্দরবনের সম্পদ। তাদের ছায়াতলে বেঙ্গল টাইগার খুঁজে পায় নিশ্চিন্ত আস্তানা। আবার বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করে এসব গাছ। সে কথা কেউ যেন না ভুলে যায়।

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা