আগুন পোহানো ও গরম পানি ব্যবহারে সতর্ক হোন

বাংলাদেশ ষড়্ঋতুর দেশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় ঋতুর পালাবদল। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই ঋতুগুলোর স্পষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হয় জনমনে। এখন শীতের আবহ কাবু করে রেখেছে প্রকৃতিকে। কুয়াশার চাদরে মুড়ানো সুন্দর শীতের সকাল শীতের অস্তিত্বকে জানান দেয়, আবার কখনো কখনো শৈত্যপ্রবাহ সূর্যকে আড়ালে রেখে দেয়।

এই শীতে একটু উষ্ণতার খোঁজে কত কিছুই না করে মানুষ। লাখ লাখ মাইল দূরে থেকে সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে অতিথি পাখিরা একটু উষ্ণতার খোঁজে। মানুষও খোঁজে উষ্ণতা। কম্বল মুড়ানো, শীতের কাপড় গায়ে জড়ানো তো নিজেকে উষ্ণ রাখার প্রতিচ্ছবি। কখনোবা তীব্র রোদে পুড়তেও ভীষণ আরাম পায়। এসব করার পেছনে মূল পটভূমি নিজেকে শীতের ধূম্রজাল থেকে সুরক্ষিত রাখা।

তবে উষ্ণতার খোঁজ করতে গিয়ে মানুষ মাঝে মাঝে ভুল পথে হাঁটে। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের দেখা যায় উষ্ণতার লোভে পাতিলে করে আগুন পোহাতে, কিন্তু হয়ে যায় হিতের বিপরীত। ঘুম ঘুম চোখে কিংবা অবচেতন অবস্থায় শাড়ির আঁচল বা চাদরে আগুনের ফুলকি লেগে যায়। কেউ কেউ অনেক কষ্ট করে ফিরে আসে আবার কেউ মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। অতিরিক্ত আরামের জন্য গরম পানিও বিপদ বয়ে আনে।

গরম-গরম বহন করার সময় ভুলে গায়ে নিজের বা অন্যের গায়ে পড়ে যায় পানির পাত্র। প্রতি বছর অনেক মানুষ এ কারণে দগ্ধ হয়। ভুক্তভোগী শিশুর সংখ্যাও কম নয়।
তাই আমাদের এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

জুবায়েদ মোস্তফা
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়