বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চালকের অদক্ষতা, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজন, গতিসীমা না মানাসহ ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলে ঘটে এসব দুর্ঘটনা। এ ছাড়াও মহাসড়কে অটো রিকশা চলাচল সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম আরেকটি কারণ। দেশে জেলা শহরের মধ্যবর্তী মহাসড়কসহ শহরের ভেতর ও গ্রামের রাস্তায় অটো রিকশা চলাচল করে প্রতিনিয়ত।
তিন চাকার এসব যানবাহনের গতি কম থাকে, মহাসড়কে হুটহাট ব্রেক করে যাত্রী তুলতে থাকে অটোচালক। ছোট বড় গতিশীল গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল চালকের সামনে চলমান অবস্থায় হঠাৎই অটোরিকশা দৃশ্যমান হয়। তখন আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না গাড়ির চালকেরা, মুহূর্তেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বেশির ভাগ অটোচালকের রাস্তার সিগন্যাল কিংবা গাড়ি চালনার অন্যান্য নিয়ম কানুন সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। রাস্তায় হুটহাট ব্রেক করাসহ ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করে হঠাৎ যেদিক সেদিকে অটো ঘুরিয়ে থাকেন তাঁরা।
গ্রাম বা শহরের ভেতরের অলিগলিতে অটোরিকশাচালকের অসতর্কতায় ছোট বড় অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তবে মহাসড়কে অটোরিকশার কারণে ঘটা দুর্ঘটনায় তুলনামূলকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না। দুর্ঘটনা কখনও বলে কয়ে আসে না, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবেও ঘটায় না। কিন্তু দুর্ঘটনা সঠিক কারণসমূহ জানা থাকলে সতর্কতা অবলম্বনে সহায়ক হবে।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে হাইকোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই তিন চাকার এই সকল যানবাহন যেন মহাসড়কে উঠতে না পারে এ বিষয়ে নিতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা। হাইওয়ে পুলিশকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে এ ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। মহাসড়কে গাড়ির গতিসীমা ও অন্যান্য আইন মেনে সবাইকে চলাচল করতে হবে। দুর্ঘটনার এড়াতে মহাসড়কে অটো রিকশা চলাচলে বন্ধে যেন নেওয়া হয় যথাযথ ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুরুল্লাহ কামিল
শিক্ষার্থী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী।