দেশের চাকরিপ্রত্যাশীদের বেশির ভাগ বেকার। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষিত যুব সমাজ সম্মান ও নিশ্চয়তার জন্য কঠোর ত্যাগ স্বীকার করে হলেও সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করে। এসব বেকার যুবকই কেবল বোঝে এই সময়ের ব্যথা। এই সময়টাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাতে টাকা থাকে না। পরিবারের কাছে টাকা চাইতেও অনেকাংশে সংকোচ বোধ হয়।
টিউশনি করে ধীরে ধীরে জমানো টাকা থেকে হিসাব–নিকাশ করে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও অনেক চিন্তা করতে হয়। কারণ, কিছুদিন আগেও সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি এতটা ছিল না, এখন যতটা আয়ত্তের বাইরে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার বেশি ফি রাখা হয়। এ ছাড়া যেকোনো পরীক্ষা দিতে ঢাকায় যাতায়াত ভাড়া, খাওয়া–দাওয়াসহ প্রতি আবেদনের পেছনে একজন চাকরিপ্রত্যাশীর কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়।
একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়ার অনেক নজির দেখা যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার ক্যাশ ও গম ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা একই দিনে একই সময়ে নেওয়া হয়েছে। গম ভুট্টায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে আবেদন করতে সর্বোচ্চ ৬৬০ টাকা খরচ হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকে তুলনামূলক আবেদন ফি কম হলেও পদসংখ্যা বেশি থাকায় অনেকেই ব্যাংকের পরীক্ষা দেবেন। তবে একজন চাকরিপ্রত্যাশী তো দুটোতেই আবেদন করেছেন, ফি জমা দিয়েছেন। তাহলে কেন একটি ছেড়ে অন্যটি বাছাই করতে হচ্ছে। প্রায়ই পত্রিকায় একই দিনে একাধিক পরীক্ষার সংবাদ ফলাও করে প্রচার হলেও এতে কারও টনক নড়ে না। মাঝ থেকে কঠিন সময় পার করা বেকারদের অযথা পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে হতাশা। দেখার কি কেউ নেই!
সৈয়দ জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়