গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাস্থ কাউয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাজী ফজল কবীর। তিনি প্রায় সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হন প্রতিবেশীর দ্বারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবারে ষড়যন্ত্রের রোষানলের কবলে পড়তে হলো তাঁর নারকেলগাছগুলোকে। কয়েক বছর আগে রোপিত এই গাছ এখন ফল দেওয়া থেকে শুরু করে বেশ উপকারী হয়ে উঠেছে ফজল কবীরের।

কয়েক দিন আগে বাড়িতে উপস্থিত না থাকায় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষে একটি গাছের গোড়ায় গর্ত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এতে সেই গাছ মরণাপন্ন হয়ে ডালপালা নেতিয়ে পড়েছে।

নারিকেল গাছের গোড়ায় দেওয়া হয় কীটনাশক

ভুক্তভোগী ফজল কবীরের অভিযোগ, এ গাছ তাঁর জায়গা আর প্রতিপক্ষের জায়গার সীমানা নির্ধারণকারী হিসেবে থাকায় প্রায় সময় তারা চাইত যেন গাছটি কেটে ফেলি। যাতে তারা আমার জায়গায় নিজেদের অস্তিত্ব বিস্তারের সুযোগ পায়। এ নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকত। আজ আমার অনুপস্থিতিতে তারা গাছটিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মেরে ফেলার মতো অবস্থা করেছে।

মানুষ কীভাবে এমন কাজ করতে পারে? বিবেক কতটুকু নিচে গেলে গাছের সঙ্গে এমন শত্রুতা করতে পারে? এটি মারাত্মক একটি অন্যায় কাজ। আশা করি, স্থানীয়ভাবে পদক্ষেপ নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিরোধ দূর করা হবে।

তৌহিদ-উল বারী
চট্টগ্রাম​​​​​​​​​​​​​​​​