ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারিভাবে অ্যান্টিভেনম চাই

d

বর্ষাকালে বাংলাদেশে বিষাক্ত পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ, যাঁরা নদী ও খেতখামারে কাজ করেন, তাঁরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় চার লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয় এবং সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

কোনো বিষধর সাপ কামড় দেওয়ার পর অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা জরুরি হলেও বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোয় এখনো অত্যাবশ্যকীয় এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেকে সাপের কামড়ে মারা যায় শুধু সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে, বিশেষ করে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকায়।

যতটুকু অ্যান্টিভেনম থাকে, তা বেশির ভাগ জেলা ও সদর হাসপাতাল পর্যায়ে দেওয়া হয়। ফলে গ্রামের মানুষ এই সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে তাদেরই এই সেবা পাওয়ার অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টা এমন হয়েছে, রোগী থাকে গ্রামে আর ওষুধ থাকে শহরে। ফলে সময়, অর্থসংকট, যাতায়াত সমস্যা ও দূরত্বের কারণে সঠিক সময়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে পারে না।

এ পরিস্থিতি এড়াতে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া বর্তমানে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপারের ছড়াছড়িতে মানুষের মধ্যে একধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোছা. ইসমা খাতুন

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়