মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড(চট্টগ্রাম) এর অধীনে এইচএসসি-২০২৩ পরীক্ষা গত ২৭ আগস্ট থেকে চলমান রয়েছে। নগরীর প্রায় সব কলেজে পড়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র। তার মধ্যে অন্যতম দুই কলেজ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। এই দুই কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছে কমপক্ষে পাঁচটির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির পাশাপাশি রয়েছে অভিভাবকবৃন্দের উপস্থিতিও। এই অভিভাবকদের সংখ্যাও কম নয়। যার প্রেক্ষিতে চলাচলের ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই দুই কলেজের প্রবেশপথ মুখোমুখি হওয়ায় সেখানে আরও বেশি লোক সমাগম হয়। ফলে ওই সড়কে নাকাল হতে হচ্ছে প্রায় সব ধরনের পেশাজীবী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
যান চলাচলের এই রাস্তাটিতে মানুষের তীব্র ভিড়ের কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। বলতে গেলে পরীক্ষা শুরু ও শেষের সময়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে থাকে এই যানজট। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হয় পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রী আর পথচারীদেরও। এই যানজটের কারণে অনেক অসুস্থ রোগী থেকে শুরু বিভিন্ন অফিসগামী কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতেও বিঘ্ন ঘটে। এতে করে অনেকের সময় অপচয় হচ্ছে।
বলতে গেলে এই দুই কলেজের প্রবেশমুখে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন জনসাধারণের এই কষ্ট আর ভোগান্তির লাঘব ঘটাতে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের পক্ষে এই পরিস্থিতির যথাযথ সমাধান দিতে প্রচুর হিমশিম খেতে হচ্ছে। দীর্ঘ এই যানজট নিরসনে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ছে তাদের। আমার মনে হয় তাদের পাশাপাশি আরো পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা গেলে খুব সহজেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হতে পারে। এতে করে অনেক দুর্ভোগ থেকে যেমন পরীক্ষার্থীরা মুক্তি পাবে, তার পাশাপাশি ভোগান্তি থেকেও মুক্তি পাবে জনসাধারণও।
তৌহিদ-উল বারী
শিক্ষার্থী
বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম