জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি পিছিয়েই থাকবে

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। একটি দেশকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা লাগে না। শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল করে দিলে ধ্বংস হয়ে যাবে। করোনা মহামারি জনজীবনের সবকিছু বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়। বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্নাতক পর্যায়ের সময়সীমা চার বছর হলেও দীর্ঘ পাঁচ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু পরীক্ষার কোনো পূর্বাভাস নেই। ফলে দুশ্চিন্তায় আছে লাখো শিক্ষার্থী।

পক্ষান্তরে, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন হয়ে গেছে। তাঁদের এখন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্লাস হচ্ছে। স্নাতক ডিগ্রি শেষ হওয়ার ফলে তাঁরা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন। কিন্তু পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

উদাহরণস্বরূপ, ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার। বিগত বছরের তুলনায় অংশগ্রহণের হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা না হওয়া। কিন্তু প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুপ্ত হয়ে আছে অজস্র স্বপ্ন। উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর কোনো পরীক্ষা হয়নি।

অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ। কারণ, করোনা মহামারিতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পরীক্ষা নেয়। ফলে তাঁদের কোনো সেশনজটে পড়তে হয়নি। তুলনামূলকভাবে তাঁরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে।

পরীক্ষা বিলম্বে হলেও চাকরির বয়স বাড়ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যত দ্রুত সম্ভব চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হোক এবং তাঁদের মেধা বিকাশে সাহায্য করা হোক।

মো. আবদুল্লাহ আল মামুন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা