উৎসবে শব্দদূষণ ও সড়কে গাড়ির বেপরোয়া গতি বন্ধ করুন

ঈদে রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে যান চলাচল সীমিত থাকলেও আঞ্চলিক ও মহাসড়কগুলোতে ছিল ভিন্ন চিত্র। সড়কগুলোতে অল্প বয়সী তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি ও হর্ন, খোলা পিকআপে উচ্ছৃঙ্খল নাচ, ডিজে পার্টি, উচ্চ স্বরে হইহুল্লোড় গানবাজনা করে শব্দদূষণ সৃষ্টি করছে।

বেশির ভাগ পরিবার শহরের কোলাহল থেকে গ্রামে গিয়ে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে ঈদ উৎসব উদ্‌যাপন করতে যায়। কিন্তু রাস্তা দিয়ে হাঁটলে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি ও হর্নের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। হইহুল্লোড় করে গানবাজনায় শব্দদূষণের ফলে আনন্দের ঈদ পরিণত হয় বেদনায়।

প্রায়ই ঈদের খবরের শিরোনাম হতে দেখা যায়, ‘মাইকের উচ্চ আওয়াজে অতিষ্ঠ পৌরবাসী’, ‘মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল প্রাণ’, ‘খোলা ট্রাকে ডিজে পার্টি করতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে তরুণের মৃত্যু’ ইত্যাদি।

আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা যেকোনো অনুষ্ঠানে হইচই না করলে আমাদের কাছে অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষও অতিরিক্ত শব্দে বিমর্ষ হয়ে পড়ে। উচ্চ শব্দে মানুষের মেজাজ খিটখিটে, আচরণে অস্বাভাবিকতা ও মানসিক অস্থিরতা লক্ষ করা যায়।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের হাতে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া যাবে না। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে হর্ন বাজানো যাবে না। উচ্চ আওয়াজে মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে।

অতএব এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন বিষয়টি আমলে নেয় এবং উৎসবের দিনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করে। সচেতন নাগরিকেরাও যেন প্রশাসনকে সহায়তা করেন।

ফজলে রাব্বি

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ

সরকারি তিতুমীর কলেজ