‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’, এমন স্লোগানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও বিদ্যুৎ-সুবিধা পৌঁছে দিয়েছেন। দেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সফলতা নিয়ে রীতিমতো খেলা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ নিজেই।
উপকূলীয় এলাকা বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা। বিভিন্ন সময় এ দুই উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করতে শোনা যায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিলেও কখনো মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় না।
কখন কখন লোডশেডিং দেওয়া হবে, তা জানানো হয় না। ফলে বিপাকে পড়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার লাখো মানুষ। প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে অসুস্থও হয়ে পড়েছে কেউ কেউ।
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের পরীক্ষার্থীরা ঠিকমতো পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারছে না। অথচ জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দুই উপজেলা। তারই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সব মিলিয়ে এ দুই উপজেলার মানুষ এত দিন ব্যস্ত ছিল, ফলে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো প্রস্তুতিও নিতে পারেনি। পরীক্ষার শেষ সময়ে এসে যে প্রস্তুতি নেবে, তা-ও পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগের খামখেয়ালি লোডশেডিংয়ের কারণে। দিন নেই-রাত নেই, হঠাৎ করেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিয়েই যাচ্ছে প্রতিদিন।
নিত্যদিনের লোডশেডিং দুই উপজেলার মানুষের এখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের খামখেয়ালির এই লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বিদ্যুৎ থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছে এ দুই উপজেলার মানুষ। তবে এ বিষয় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলে কিংবা যোগাযোগ করলেও তারা কোনো আমলে নেয় না। তাঁদের দাবি, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন তার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয়রা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে এবার এ দুই উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
আশা করব লেখাটি প্রকাশিত হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অন্তত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষার এক মাস হলেও লোডশেডিং থেকে এ দুই উপজেলাকে মুক্তি দেওয়া হোক। বিদ্যুৎ বিভাগের পাশাপাশি এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. সাব্বির সরদার
শরণখোলা থেকে ফিরে এসে