চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলাধীন ২ নম্বর আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত উত্তর আলগী মৌজায় প্রান্তিক কৃষকদের একমাত্র সম্বল কৃষিজমিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল স্টেডিয়াম। ওই স্টেডিয়ামের জন্য প্রায় ৩ দশমিক ১৯ একর ভূমি প্রস্তাব করা হয়েছে। স্টেডিয়াম নির্মিত হলে পাশের জমিসহ প্রায় পাঁচ একর কৃষিজমি বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
প্রস্তাবিত শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জন্য কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হলে কৃষকেরা ভূমিহীন হয়ে যাবেন। অত্র কৃষিজমিতে কৃষকেরা বছরে তিন ফসল চাষ করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। তা ছাড়া ধান, গম, ভুট্টা, পানের বরজ, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন। উক্ত ভূমি থেকে গবাদিপশুর জন্য খড় ও ঘাসের ব্যবস্থা করেন।
ভূমিহীন কৃষকেরা জমি বর্গা ও ইজারা নিয়ে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকেই যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। ফলে ঘরবাড়ি তৈরির জন্য উক্ত ভূমি ব্যবহার করতে হবে। অত্র উপজেলার অধিকাংশ জমি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে এবং ২ নম্বর উত্তর আলগী ইউনিয়ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মানুষের জীবন যাপনের ওপর ব্যাপক প্রতিকূল প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া এখানে স্টেডিয়াম নির্মিত হলে আশপাশের কৃষিজমি বন্যায় প্লাবিত হবে।
এমতাবস্থায় কৃষকের চোখে জল, মুখে অসহায়ত্ব আর আর্তনাদ। তাই কৃষকের জীবন ও জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে স্টেডিয়ামের জন্য বিকল্প ভূমির অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য, অত্র ইউনিয়নের লামছড়ি ও ৩ নম্বর দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নাধীন চরভাঙ্গাসহ একাধিক মৌজায় স্টেডিয়াম করার মতো ভূমি রয়েছে, যাতে স্টেডিয়াম করার জন্য আপত্তি থাকার কথা নয়।
অতএব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোহাম্মদ আল-আমিন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
বাসিন্দা
উত্তর আলগী, হাইমচর, চাঁদপুর