এগিয়ে নিই দেশটা
বলছি, ১ জুলাই থেকে চলে আসা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কথা! বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবার আগে জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দেশজুড়ে সৃষ্টি হওয়া চলমান পরিস্থিতিতে দেখা যায় এক শ্রেণির সুযোগসন্ধানী লোক বিশৃঙ্খলা চালিয়েছে।
দেশের নতুন এই পরিস্থিতিতে সবার আগে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি করতে হবে।
এ জন্য দেশের নাগরিকদের এক হয়ে কাজ করতে হবে, সব ধরনের পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে হবে। এই আন্দোলন-সংঘাতে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সবাই মিলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে।
সেলিনা শিকদার
শিক্ষক, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়
তাঁদের নাম লেখা থাক
আমার বাংলা মা আবার হাসবে, বাংলার বুকে রিয়া মণিরা আবার খেলবে। ‘ভাই পানি লাগবে, পানি?—এভাবে বারবার ফিরে আসবে হাজারো মুগ্ধ। মানবতা বেঁচে থাক হাজারো মুগ্ধর বুকে। পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কীভাবে নির্ভীক আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দিয়েছেন।
তারা জানবে ফারহান ফাইয়াজ, জাহিদুজ্জামান, আল আমিন, তরুয়া, ওয়াসিম, আদনান, ফয়সাল, রাফি, দীপ্ত, তাহমিদ, সৈকত নাম না জানা অনেক শহীদদের বীর সাহসিকতার কথা। তারা জানবে কীভাবে রেমিট্যান্স–যোদ্ধা, বাইরের রাষ্ট্রের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা কখনো ভুলব না সেই রিকশাওয়ালাদের কথা।
আমরা ভুলব না, যাঁরা বিনা মূল্যে আন্দোলনে আমাদের খাবার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আমরা ভুলব না, সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ভাই–বোনদের অবদান, যাঁরা সারা বিশ্বে তথ্য জানান দিয়েছিলেন। বায়ান্নর ইতিহাসের সালাম, জব্বার, রফিক, শফিকদের মতো লেখা হোক ২৪-এর ইতিহাসের শহীদদের কথা। লেখা হোক, সাহসী সমন্বয়কদের কথা। লেখা হোক, সেসব শিক্ষক, আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কথা, যাঁরা নিঃশর্তে আমাদের সঙ্গ দিয়েছেন।
বাংলা মা বেঁচে থাক, আমার শহীদ ভাই-বোনের আত্মা শান্তি পাক।
আবিদা ইসলাম
দর্শন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।