চট্টগ্রামের একটি অন্যতম উপজেলা বাঁশখালী। এটি শুধু একটি পর্যটন এলাকা নয় বরং এটি অনেক উপজেলার প্রবেশদ্বারও। এই বাঁশখালীর প্রধান সড়ক হয়ে প্রবেশ করতে হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী বিভিন্ন যানবাহনের। তাই এই সড়কটি পেকুয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ অর্ধশতাধিক কিলোমিটারের এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য যান চলাচল করে।
এই প্রধান সড়কটি মূলত বেশ সরু। যার কারণে যানজট লেগেই থাকে। নানা দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ আর পথচারীদের। যার দরুন, নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা তাঁদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারেন না, পৌঁছতে পারে না বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনেও অংশগ্রহণ সম্ভব হয় না। ফলে নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয় পথচারী তথা যাত্রীদের।
এ ছাড়াও এই সরু সড়ক দিয়ে সুপার সার্ভিস, এস আলম, আর দ্রুতগামী সান লাইনের মতো দূরপাল্লার বাসের চলাচল রয়েছে প্রতিনিয়ত। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ধরন আর সরু সড়কটি দিয়ে বিপুলসংখ্যক যান চলাচলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ফলে সড়কের বলি হয়ে হারাতে হচ্ছে নানা প্রাণ।
পাশাপাশি আনোয়ারা বাঁশখালী হয়ে চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া আর কক্সবাজারগামী যানবাহনগুলোর চলাচলের চাপের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যার প্রভাবে গুনাগারী, খাসমহল, টাইমবাজার, চাম্বল বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যায় দীর্ঘ যানজটের। ভোগান্তি আর হয়রানির কারণে জনমনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম নেয়।
তবে বাঁশখালীর এই প্রধান সড়কের সম্প্রসারণ তথা চার লেন বৃদ্ধির মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে এ সমস্ত সমস্যার। আশা করা যায় যদি প্রধান এই সড়ক চার লেনে বৃদ্ধিকরণ করা হয়, তাহলে নির্বিঘ্নে যান চলাচল করবে। ফলে যাত্রীদের আর যানজটের সম্মুখীন হতে হবে না। হতে হবে না কোনো ভোগান্তির সম্মুখীনও। এতে সাধারণ যাত্রীও হয়রানিমুক্ত হবে এবং পথচারীদের চলাচলে আর সমস্যা হবে না। ফলে সড়কের বলি হয়ে হারাতে হবে না কোনো আত্মীয়স্বজন তথা আপনজনকে। তাই বাঁশখালীর এই প্রধান সড়ক চার লেনে বৃদ্ধিকরণ করা হোক।
তৌহিদ-উল বারী
শিক্ষার্থী, বাকলিয়া সরকারী কলেজ, চট্টগ্রাম