দশ গ্রামের নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে পালাল প্রতারকচক্র

এবার প্রতারণার নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হলো প্রতারক চক্র। দশ গ্রামের লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল চক্রটি। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিয়নটির দশ গ্রামের নারীদের কাছ থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে তোলা হয় এবং প্রশিক্ষণের পরে ভবিষ্যতে কাজ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

গ্রামগুলোর প্রায় ৪০০ জনের নারীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কথা বলে একেকজনের কাছ থেকে ৫০–১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এই প্রশিক্ষণ শেষে সনদ ও একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হবে; বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে নারীরা স্বাবলম্বী হতে পারবেন—এমন সব প্রলোভন দেখানো হয়। গ্রামের নারীদের বলা হয়েছিল, ১২ দিনে ১২টা কাজ শিখিয়ে তাঁদের কাজ জোগাড় করে দেওয়া হবে, কিন্তু তার আগেই কাজ শেষ না করে টাকা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রতারক চক্র।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে নারীদের ব্লক করে দিয়েছে প্রতারক চক্র। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের নাম সোহেল, যাঁর বাড়ি রংপুরে। তিনি জানিয়েছিলেন, মাগুরা জেলার সীমাখালী বাজারে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি বাসা নিয়ে থাকেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, যা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন।

এ অবস্থায় ভুক্তভোগীদের দাবি, এভাবে কোনো প্রতারক চক্র যেন কোনো অসহায় মানুষের কাছ থেকে ধোঁকা দিতে না পারে, কাজ শেখানো ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করতে না পারে, সে জন্য আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তামান্না ইসলাম
শিক্ষার্থী, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।