চুরি ঠেকান কৃষক বাঁচান

সার-বীজ-জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে কৃষকের উৎপাদন খরচ। এর মধ্যে উৎপাত হিসেবে হাজির হয়েছে সেচ যন্ত্র চুরি। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৪ নং গড়াডোবা ইউনিয়নে এ চুরির ঘটনা ঘটছে। সেখানকার হাসখাঁনা (গাড়াদিয়া) মৌজার ফসলের মাঠ থেকে ৩ মার্চ শুক্রবার রাতে ৪ জন কৃষকের ৪টি বৈদ্যুতিক মোটর (সেচ যন্ত্র) চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। ফলে বোরো ধান চাষের প্রায় শত বিঘা জমিতে পানি সেচ কাজ বন্ধ থাকায় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় কৃষকেরা।

এ ঘটনায় গাড়াদিয়া কান্দার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাফিজুর রহমান বাবলু, আজহারুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও কাইয়ুম জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। চুরির সময় সেচ পাম্পগুলোতে পাহারাদার ছিল না। এদিকে সেচ যন্ত্র চুরি হওয়ায় প্রায় শত বিঘা জমিতে সেচ কাজ বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা দিশেহারা। কৃষকেরা বলছেন, তাঁরা এখনো কারও কাছে, এমনকি থানায়ও এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে কৃষকদের খুব কঠিন সময় এখন। তার উপরে আবার মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘাঁ’র মতো এ অবস্থা তাদের।

এমন অবস্থায় উপজেলা সদরে এসে থানায় অভিযোগ দেওয়ার শক্তি ও সাহস বোধ হয় কোনোটাই নাই তাদের। গত কয়েক বছর আগেও অত্র এলাকা থেকে বৈদ্যুতিক মোটর (সেচ যন্ত্র)  চুরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক কৃষক বলেন, চোরেরা পার্শ্ববর্তী এলাকা নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, আটপাড়া, মদন ও নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দারা। তাদের কেউ মাদকসেবী, কেউ সেচ যন্ত্রের মেরামতকারী বা এর ব্যবসা করে। তখন থানায় কয়েকটি অভিযোগ হয়েছে বটে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চোরদের পেছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ থাকায় কৃষকেরা কোনো বিচার পাচ্ছে না। এর ফলে চুরিও বেড়ে যাচ্ছে।

তাই বৈদ্যুতিক মোটর (সেচ যন্ত্র) চুরির ঘটনা রোধে অত্র এলাকাবাসীর সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে চোরদের চিহ্নিত করে ধরা হোক।

কাদির তালুকদার
গাড়াদিয়া কান্দা, বিদ্যাবল্লভ
কেন্দুয়া, নেত্রকোনা