মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা না দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম

মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসে বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটা দেখেছি। কিন্তু বাংলাদেশের হেরে যাওয়া থেকেও মিরপুর স্টেডিয়ামের অব্যবস্থাপনা দেখে বেশি কষ্ট পেয়েছি।

শুরুটা হয়েছিল টিকিট কিনতে গিয়ে। ম্যাচের আগের দিন টিকিট বিক্রি শুরুর ঘণ্টা তিনেক পর কাউন্টারে গিয়ে স্বল্প মূল্যের তথা ২০০ বা ৩০০ টাকার টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৫০০ টাকা মূল্যের টিকিট কিনে ফিরে আসি। সেখানে জানতে পারি স্বল্প দামের টিকিটগুলো কালোবাজারে চলে গেছে। পরে যা চড়া দামে বিক্রি হবে।

খেলার দিনে টিকিট নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকে দেখি সিট নম্বরের কোনো বালাই নেই। যে যেখানে পারছে বসছে। এ নিয়ে অনেকে আবার তর্কবিতর্কে বা হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে যাচ্ছে। আর সিটগুলোর যে বেহাল দশা! এত পরিমাণ ধুলো জমে আছে আর অনেক সিট এমনভাবে ভেঙে গেছে যে আপনি চাইলেও ভালোভাবে বসতে পারবেন না। কোনোরকম বসেই আপনাকে ৭/৮ ঘণ্টা অতিক্রম করতে হবে। আর গ্যালারির প্রতিটি খাবার ২ বা ৩ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

আমাদের গ্যালারিতে ইংল্যান্ডের কয়েকজন সমর্থকও ছিলেন। গ্যালারির এমন পরিবেশে তারা কী বার্তা পেলেন তা আমি জানি না। তবে যত দিন না এই হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর স্টেডিয়ামের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি না হচ্ছে, তত দিন আমি ও আমার বন্ধুবান্ধবরা মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা না দেখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  

রাহাত রাব্বি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।