কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার হাতেখড়ি হয় যাদের হাতে, তারা হচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। একজন সুশিক্ষিত সুনাগরিক গঠনের প্রথম কারিগর হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। সেই মহান দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের জীবনমানের গল্প শুনলে বিবেকবান মানুষের বিবেকে বাঁধবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত একজন শিক্ষকের বেতন ভাতা মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালকের গ্রেডের নিচে ১৩ তম গ্রেডে। প্রাথমিকের শিক্ষকদের দৈনিক টিফিন ভাতা কত শুনলে অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রাথমিকের শিক্ষকদের দৈনিক টিফিন ভাতা ৬.৬৬ টাকা, যা দিয়ে বর্তমান সময়ে এক কাপ চাও পাওয়া যায় না।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাজার যখন ঊর্ধ্বগতির চরম পর্যায়ে তখনও শিক্ষকদের আগের ভাতাই বিদ্যমান। একজন শিক্ষক সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান পরিচালনা করেন। অথচ তাদের দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতিতে ৬.৬৬ টাকার টিফিন ভাতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই লজ্জাজনক টিফিন ভাতা হয় উঠিয়ে নেওয়া হোক, আর না হলে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দুপুরের খাবার ভাতা প্রদান করা হোক।

৬.৬৬ টাকার টিফিন খেয়ে একজন শিক্ষক বিকেল ৪টা পর্যন্ত কীভাবে পাঠদানে মনোনিবেশ করবেন এবং সফল পাঠ দেবেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার সবিনয় অনুরোধ রইল।  

মো. জামিল বাসার
সহকারী শিক্ষক, বওলা সপ্রাবি
ধনবাড়ী, টাংগাইল।