ডিপ্লোমা প্রকৌশল থেকে পাসের পর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) রয়েছে। এ রকম সুযোগ অন্যান্য ডিপ্লোমার ক্ষেত্রেও কমবেশি রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কৃষি ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ একেবারেই নেই অথচ এখানকার শিক্ষার্থীরা চার বছর ধরে ৫২টি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। কৃষির খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতে–কলমে শিক্ষা নেন। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনের হার বৃদ্ধিতে তাঁরা নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন।

কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সরকার কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও যাতে অকর্ষিত অবস্থায় না থাকে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধান, সবজি, ফল চাষসহ বাংলাদেশে কৃষির যে বহুমুখীকরণ চলছে, সেটাও অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান রয়েছে এমন ধরনের প্রচুর লোকবল প্রয়োজন। কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকলে সেই শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব।

কৃষি ডিপ্লোমা শেষে উচ্চশিক্ষা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, কৃষির সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য কৃষি ডিপ্লোমা শেষে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচন করা হোক।

  • বিধান চন্দ্র রায় শিক্ষার্থী

    সপ্তম সেমিস্টার, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, তাজহাট, রংপুর