জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে গুচ্ছগ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায়। সেখানে নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া মরিচাপাড়ায় ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামের প্রবেশপথে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা জানান, যমুনা নদী গর্ভে ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় এখানে তাঁরা বসবাস করেন। এখানকার অধিকাংশ পরিবার ভূমিহীন। অত্র এলাকায় দুই হাজার মানুষের বসবাস।
পাকা রাস্তা থেকে গুচ্ছগ্রামে প্রবেশপথের রাস্তাটি দীর্ঘ তিরিশ বছর আগের। রাস্তাটি সরকারি জায়গা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাসজমি। রাস্তাটি বেশ চওড়া ছিল, প্রায় পনেরো ফিট। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় রাস্তা দিয়ে ভ্যান গাড়ি ও গরু ছাগলের চলাচল এবং চরাঞ্চলের কৃষকেরা ফসল আনা-নেওয়া করেন।
সম্প্রতি স্থানীয় দুই প্রভাবশালী রাস্তার দুই পাশে দখল করে বেড়া দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পথচারীসহ এলাকার বাসিন্দারা। বর্তমানে রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে কেউ অসুস্থ হলে বহু দূর ঘুরে তাঁকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। রাস্তায় বেড়া দেওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার চেয়ে কোনো প্রতিকার পাননি। তাই স্থানীয় এলাকাবাসী দখল হয়ে যাওয়া রাস্তা উদ্ধার ও রাস্তার বেড়া অপসারণের করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী মো. সামছুল হক বলেন, রাস্তাটি দখল হওয়ায় চলাচলের অসুবিধা। ভ্যান আসে না, মাথায় করে কোনো ধানের বোঝা, ঘাসের বোঝা আনা-নেওয়া করা যায় না। মানুষ অসুস্থ হলে কিংবা মারা গেলে মহাবিপদে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মরিচা পাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছগ্রামের রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ধান-পাটসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যও এই রাস্তা ব্যবহার করে এলাকাবাসী বাড়িতে নিয়ে যান। রাস্তা দখলকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কথা কর্ণপাত করেননি।
এ ব্যাপারে নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু দাউদ বলেন, রাস্তাটিতে অনেক মানুষ চলাচল করেন। রাস্তায় বেড়া দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বেড়া সরানোর জন্য বলা হয়েছে। তারপরেও বেড়া সরানো হচ্ছে না কী কারণে আমার জানা নেই ।
বুলবুল হাসান
বেড়া, পাবনা