তরুণেরা দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ছোট থেকে বড়—সবাই রাতজাগাকে অভ্যাসে পরিণত করে তুলেছে। এর মূল কারণ হলো স্মার্টফোন। আবার তরুণেরা বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, বাজে আড্ডা, ছিনতাই, রাহাজানি, হয়রানি, চুরি, ডাকাতি কিংবা ডিপ্রেশনের কারণে রাত জেগে থাকে। এভাবে তারুণ্যের অবক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি। তরুণদের দ্বারা একটি দেশ কিংবা জাতি গড়ে ওঠে। তরুণেরা যদি নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যায়, তবে জাতি গড়ে উঠবে কীভাবে?
তারুণ্য ধরে রেখে নিজেকে গড়ার পাশাপাশি দেশকে গড়ে তুলতে হবে। তরুণেরাই পারে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। তরুণেরাই পারে প্রয়োজনে দেশের জন্য রক্ত ঝরাতে, দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে, অন্যায়ের কাছে আপস না করে প্রতিবাদ করতে। তাই তরুণদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সচেতন হতে হবে শিশুদের প্রতি। একজন মানুষ শিশুকালে সঠিক শিক্ষা আর ভালোবাসা পেলে সে কখনো খারাপ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে না। আর সেই শিশুই হবে আগামী দিনের সাফল্য।
কিন্তু দিন দিন আমাদের তরুণসমাজ নিজেকে জাতি গড়ার লক্ষ্যে ব্যস্ত না রেখে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের খুব দ্রুত তরুণসমাজের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি শিশুদের সঠিক শিক্ষা ও সঠিক ভালোবাসা দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শিশু ও তরুণদের সবচেয়ে বেশি পারিবারিকভাবে সবার সমানতালে সঙ্গ দেওয়া উচিত। কারণ, সঠিক সময়ে পরিবারের সঙ্গ না পেলে একাকিত্বের চাপে মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে যায়।
তাই পারিবারিক সময় সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সুখ-শান্তিও এখানেই নিহিত।
সুতরাং একটি দেশ ও জাতি গড়ার জন্য শিশু ও তরুণদের গড়ে তুলতে হবে।
তাই বিশ্ব গড়তে দেশ গড়ুন আর দেশ গড়তে শিশু ও তরুণদের গড়ে তুলুন।
রুনা লায়লা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া