আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো ছাড়াই হোক নববর্ষ উদ্‌যাপন

খিষ্টীয় ক্যালেন্ডারের আরেকটি বছর শেষ হতে চলল। আগামীকাল নতুন একটি বছর শুরু হবে। তবে নতুন বছরের আগমনমুহুর্তে পালিত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। পৃথিবীর সকল দেশে বহু বছর ধরে উদ্‌যাপিত হয় এ রাত। বাংলাদেশও পালিত হয় এই উৎসবটি। বিভিন্ন জায়গাতে গান, বাজনা, নৃত্য ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্‌যাপিত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট।

তবে ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটার ঘরে যেতে না যেতেই একটা অশান্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কীসের কথা বলছি। হ্যাঁ, ঢাকা শহরজুড়ে ভয়াবহ আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানোর বিষয়েই বলতে আজকে লেখাটি। বিষয়টি এখন আর ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের সব বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে চারদিকের অসহনীয় শব্দদূষণ ও পটকাবাজির বিকট আওয়াজে শিশুদের ঘুম ভেঙে যায়। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে ওঠে আতঙ্কিত চোখে। অসুস্থ লোক বিছানায় উঠে বসে থাকে নীরব রাতের অপেক্ষায়। পরীক্ষার্থীদের পড়া থমকে যায়। নির্ঘুম রাত কাটে তার পড়াহীন অবস্থায়। আরো একটি বিষয় হচ্ছে এই আতশবাজিতে মারা যায় পাখিও। সকালে বিভিন্ন গাছের নিচে গেলেই বোঝা যায়। ফানুস উড়ানোর কারণে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। আমরা বড় কোনো দুর্ঘটনা দেখতে চাই না।

এসব পটকাবাজি ও আতশবাজি ছাড়াও আমরা উদ্‌যাপন করতে পারি এই রাতটি, কিন্তু আমরা তা করছি না। মানুষ হিসেবে অপর মানুষের নিরাপদ ঘুম, শব্দ দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। এর পাশাপাশি পাখপাখালিদেরও নিরাপদ রাখাও আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং সকল দিক বিবেচনা করে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে আমাদের সকলকে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আতশবাজি, পটকাবাজি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মো. আব্দুল ওহাব
শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়