এইসব মোটরসাইকেলচালকের দৌরাত্ম্য থামাবে কে

মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্যে আজকাল রাস্তাঘাটে বেরোনো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। যেকোনো সময় বিপদের আশঙ্কা থাকে। রাস্তাঘাটে বের হলেই মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্যের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। খোদ রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বড়-ছোট সব মফস্‌সল শহরে বাইকের দাপাদাপি এখন সর্বত্র। রাস্তায় বের হলেই বাইকচালকদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে।

কয়েক বছর আগেও এত বাইকের বাড়বাড়ন্ত ছিল না। অনেক সময়ই দেখা যায় একটি বাইকে তিন-চারজন একসঙ্গে উঠেছে। অনেকের মাথাতেই হেলমেট নেই। তার ওপর আবার একশ্রেণির মোটরসাইকেলচালক আছে, যারা মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারে প্রযুক্তিগত কিছু অদলবদল ঘটিয়ে বিকট শব্দ সৃষ্টি করছে। গলি থেকে রাজপথ—সর্বত্রই তাদের যাতায়াত।

রাস্তার পাশেই থাকে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—ক্লিনিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যেখানে গাড়ি ধীরে চালানো এবং শব্দ না করার সতর্কবার্তা দেখি আমরা। কিন্তু তা মানছে কে?

তাই বলতে হয়, একশ্রেণির উচ্ছৃঙ্খল মোটরসাইকেলচালক ট্রাফিক আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাইকগুলো নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণবিধির নির্ধারিত শব্দসীমার অনেক ওপরে থাকে সেসব মোটরসাইকেলের শব্দ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—প্রত্যেকের অসুবিধা হয় তাতে। যাঁদের হার্টের অসুবিধা রয়েছে, এমন শব্দে তাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং উচ্ছৃঙ্খলভাবে যাঁরা বাইক চালান তাঁদের ভদ্র–নম্র ও শান্ত হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিও বাড়াতে হবে।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা