মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর শিক্ষকেরা। একজন শিক্ষক নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। শিক্ষক চলার পথে শিক্ষার্থীদের যথাযথ দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ দিয়ে জীবনের কণ্টকাকীর্ণ পথ মসৃণ করে তোলেন। জায়গা করে নেন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে, দখল করে নেন প্রিয় শিক্ষকের স্থান।
শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীর মধ্যে অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার এবং চেনা-জানা বিষয়গুলোকেও নতুন করে চেনার আগ্রহ সৃষ্টি করেন। শিক্ষকের ভূমিকা হয়ে দাঁড়ায় স্বপ্নস্রষ্টার মতো।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষকেরা যারা বেশির ভাগ সময় ভালো ফল করেন সেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন, তাদের প্রতি যত্ন নেন এবং প্রয়োজনে বিশেষ পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন।
এর ফলে অপেক্ষাকৃত কম নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং নিজেকে নিচু চোখে দেখতে শুরু করে। পাশাপাশি তা একজন পিছিয়ে পড়া কিংবা অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর কাছে সুফল বয়ে আনার বিপরীতে দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ শিক্ষকের ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা, স্নেহের সংস্পর্শে খারাপ বা কম মনোযোগী শিক্ষার্থীও ভালো হয়ে যেতে পারে। পড়াশোনায় আরও উন্নতি করতে পারে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক অভিযোগ করে থাকেন একই শিক্ষকের ক্লাস করে এসে তাঁর কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যায় না। তাই অভিভাবকের প্রত্যাশা শিক্ষকেরা যেন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সন্তানসম বিবেচনায় জীবনের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে বৃক্ষের ন্যায় আগলে রাখেন।
পূরবী দত্ত
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।