শীতে গরম নাকি ঠান্ডা পানিতে গোসল

প্রতিদিন গোসল শরীর-মনকে সতেজ ও চাঙা রাখে

বাংলাদেশে মূলত জানুয়ারি মাসেই সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে থাকে। শীতের সময়টা আমাদের সবার প্রিয় হলেও দুটো কাজ খুবই কষ্টের হয়ে ওঠে; প্রথমত ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছাড়া আর দ্বিতীয়ত গোসল করা।

কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে গোসলের কোনো বিকল্প নেই। কারণ গোসল না করার ফলে ত্বকের সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ও আছে সেখানে।

তাছাড়া প্রতিদিন গোসল শরীর-মনকে সতেজ ও চাঙা রাখে। কর্মস্থল থেকে ফিরে একটি গোসল সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দেয়।

শীতে বা অতিরিক্ত ঠান্ডায় অনেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। এতে ঠান্ডা থেকে যেমন বাঁচা যায়, আবার আরামবোধও তৈরি হয়। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে গোসলে সাবধানতা জরুরি।

বেশি গরম পানিতে গোসল ত্বকের ফলিকেলস নষ্ট করে দিতে পারে, মুখমণ্ডলের চামড়া অনেক সংবেদনশীল হয় তা পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অতিরিক্ত গরম পানি চুলের জন্য যেমন ক্ষতিকারক আবার মস্তিষ্কের উপরও চাপ সৃষ্টি করে। তাই সকলের উচিত মাথায় অন্তত ঠান্ডা পানি বা হালকা-কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা।  

আবার শীতকালে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিও অনেক ঠান্ডা থাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অনেকের ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা হুট করে নেমে যেতে পারে, পেশি সংকুচিত হয়, ঠান্ডা, টনসিল, সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে।

অন্যদিকে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে শরীর চাঙা হয়, পেশি সতেজ হয়, ক্লান্তি দূর হয়, রক্ত চলাচল বাড়ে, গোসলের অনীহা দূর হয়, অনিদ্রা দূর হয়, ত্বক ভালো থাকে।

এ জন্য শীতকালে বেশি ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না, আবার বেশি গরম পানিতেও গোসল করা যাবে না। হালকা কুসুম পানিতে গোসল করাই শ্রেয়। তবে যাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হয়, তাঁরা এ ব্যাপারে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলবেন।

সংগীত কুমার
শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়