রূপালী ব্যাংকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বেকারত্বের সমাধান নেই

২০২২ সালের ১৯ জুলাই রূপালী ব্যাংকের ২০১৬ সাল ভিত্তিক অফিসার (জেনারেল) ১৩৪ জনের তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের ১০ মাস পার হয়ে গেলেও সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ প্রদানে কর্তৃপক্ষের অনীহা সব আনন্দ শেষ করে দিচ্ছে। রূপালী ব্যাংকে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় ১৩৪ জনের অনেকে পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, অনেকে টিউশনি ছেড়ে দিয়ে বেকার হয়ে গেছেন,  অনেকে আবার সমান এবং তার নিম্ন গ্রেড অফিসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও যোগ দেননি। এ অবস্থায় ১০ মাস আগে চাকরি পেয়েও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি আমরা।

শুধু আমরাই নয়, আরও কয়েকটি ব্যাচ রূপালী ব্যাংকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বেকার জীবন কাটাচ্ছে কয়েক মাস ধরে।
রূপালী ব্যাংকে যেসব ব্যাচ নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ—
২০১৬ ভিত্তিক ১৩৪ জন অফিসার (১০ মাস অপেক্ষমাণ)
২০১৮ ভিত্তিক ১৯ জন সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার (১০ মাস অপেক্ষমাণ)
২০১৮ ভিত্তিক ২১১ জন সিনিয়র অফিসার (৯ মাস অপেক্ষমাণ)
২০১৯ ভিত্তিক ৭৭ জন সিনিয়র অফিসার (৭ মাস অপেক্ষমাণ)
২০১৮ ভিত্তিক ৪৭০ জন অফিসার (৪ মাস অপেক্ষমাণ)
২০১৮ সাল ভিত্তিক ৬ জন ক্যাশ অফিসার (২ মাস অপেক্ষমাণ)

রূপালী ব্যাংকের জন্য ব্যাংকের প্যানেলগুলো অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, সব ব্যাংক নিয়োগ সম্পন্ন না করলে ব্যাংকার সিলেকশন কমিটি প্যানেল এর রেজাল্ট দিতে পারে না। যেখানে ১–২ মাসেই অন্যান্য ব্যাংক নিয়োগ দিয়ে দেয়, রূপালী সেখানে ৮-১২ মাস সময় নিয়ে ফেলে। তাই যেখানে ২-৩ মাস পর পর প্যানেল দেওয়া সম্ভব, সেখানে ১ বছরের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।

রূপালী ব্যাংকের নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের উদাসীনতার জন্য ওই ব্যাংকের সুপারিশপ্রাপ্ত এবং প্যানেলপ্রত্যাশীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নিয়োগ না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। বেকারদের অনেক লম্বা সময় বেকার জীবনের অভিশাপ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। একমাত্র রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাই পারে এই দুর্দশা লাঘব করতে।

নিবেদক
সাদিকুর
সুপারিশপ্রাপ্তদের একজন