চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান করা হোক

সংস্কার হওয়ার পর শহীদ মিনার এলাকা

বাঙালি জাতির মূর্ত প্রতীক ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নগরীর কে সি দে সড়ক এলাকায় মুসলিম ইনস্টিটিউট হলের সামনে ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়। তখন থেকেই চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে শহীদ মিনারটি। শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাটি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে পরিণত হয়।

জাতীয় দিবস সমূহের নানা অনুষ্ঠান এই শহীদ মিনার এলাকা ঘিরেই হতো। একটি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স পুনঃ নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর শহীদ মিনারটি ভেঙে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে পুরো কমপ্লেক্সের ৮৭ ভাগ কাজ শেষ হাওয়ার মাথায় শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন।

অত্যন্ত দুঃখের বিষয় শহীদ মিনারটি আগের আদলে তৈরি করা হলেও বর্তমানে মুসলিম ইনস্টিটিউট ও গণগ্রন্থাগার সঙ্গে শহীদ মিনারকে যুক্ত করা প্রবেশপথে ২১ ফুট উঁচু প্লাজা নির্মাণের ফলে আগের মতো দৃশ্যমান হচ্ছে না। ফলে শহীদ মিনারের প্রকৃত অস্তিত্ব ও শহীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে ব্যাঘাত হচ্ছে।

চট্টগ্রামের মানুষেরা আর কত দিন অস্থায়ী শহীদ মিনারে নানা অনুষ্ঠান পালন করবে? তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ তাই শিগগিরই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাররে সঙ্গে লাগোয়া উঁচু প্লাজাটি ভেঙে বা যেকোনো প্রকারে শহীদ মিনারটি দৃশ্যমান করা হোক।

আলতাফ হোসেন হৃদয় খান

পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম।