‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে’ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে পদায়ন করা হয়েছে হিরো আলমকে। কী যোগ্যতাবলে তাঁকে এ পদে পদায়ন করা হয়েছে এবং কারা করেছেন ও কী উদ্দেশ্যে করেছেন—সে প্রশ্ন না উঠে পারে না। হিরো আলমের ব্যক্তিগত জীবন বিশ্লেষণের দিকে বা তাঁকে নিয়ে কাদা–ছোড়াছুড়ির দিকে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে একটি দলকে, সংগঠনকে, সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে—সার্বিকভাবে দেশকে। পাশাপাশি দেশের অনাগত সময় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।

এ থেকে সহজেই অনুমেয়—কী ধরনের প্রজন্ম আমাদের নীতিনির্ধারকেরা চান! হিরো আলম গংদের মতো যাঁরা দেশকে এবং দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে নেতৃত্ব দেবেন বা তাঁদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে—তখন দেশ সার্বিকভাবে কোথায় নিমজ্জিত হবে, সেটা সহজেই অনুমেয়। কারা দেশকে রসাতলে ফেলতে চান!

হিরো আলমকে নিয়ে এই প্রথম আমি কিছু লিখলাম। এর আগে লিখিনি—তাঁকে লেখার ‘বিষয়বস্তু’ মনে করিনি বলে। কারণ, হিরো আলমদের নিয়ে লেখা মানে তাঁদের ‘প্রোমোট’ করা। আমি প্রজন্মকে সে ধরনের ‘নেতিবাচক’ কিছু দিতে চাইনি কখনো। তাই সব সময়ই বলে গেছি সংকট ও সম্ভাবনার কথা। কিন্তু আজ আর না লিখে পারিনি।

কী হবে আমাদের—আমাদের ভবিষ্যতের! উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চোখের সামনে প্রজন্মের তিলে তিলে ক্ষয়ে যাওয়া ‘আশঙ্কা’ আমাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। প্রজন্মের ‘চোখে চোখ রাখার’ সাধ্য নেই। অথচ এদের নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।

মাঝেমধ্যে আমি প্রচণ্ড ভেঙে পড়ি, ভারাক্রান্ত হই—কেন শুধুই আমি এসব নিয়ে চিন্তা করি—কেন বলি-লিখি! আমারই–বা কেন দেশের কল্যাণ নিয়ে, দেশের ভবিষ্যতে নিয়ে, প্রজন্ম নিয়ে এত চিন্তাভাবনা! শেষমেশ আমি কোনো উত্তর পাই না...।

ইমরান ইমন
সাংবাদিক। ই-মেইল: [email protected]