উচ্চশিক্ষা: সেশন জট কাটিয়ে ওঠার উপায়

করোনা তাণ্ডবের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যে সেশন জট নামক ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা খাতে তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি মারাত্মক সমস্যা। দেখা যায় সেশন জটের কারণে চার বছরের স্নাতক (সম্মান) শেষ করতে লেগে যায় ছয়–সাত বছর, যা একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার ও চাকরি জীবনে অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেশন জটের কবলে পড়তে হয়। আগের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জটের সেই ভয়াবহতা তেমন একটা নেই। তবে এটি একেবারেই বন্ধ হয়েছে, ব্যাপারটা এমনও না। এখনো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সেশন জট রয়ে গেছে।

সম্প্রতি মহামারি করোনার প্রভাবে সেই মার্চ থেকে স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষাবর্ষ শেষের দিকে অথচ তেমন ক্লাস, কোর্স সম্পন্ন, পরীক্ষা নেওয়া—কিছুই সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

তাই সেশন জট নামক এই ভয়াবহ ব্যাধি রোধ করতে বা কমিয়ে আনতে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। উভয়কেই হতে হবে আন্তরিক। এ জন্য কোর্সভিত্তিক ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন আগে সপ্তাহে একটা কোর্সের দুটো ক্লাস থাকলে এখন সেখানে চারটা করে ক্লাস দিতে হবে। কোর্সের ক্লাস তিনটা থাকলে সেখানে ছয়টা করে দিতে হবে। এভাবে সব কোর্স দ্বিগুণ ক্লাস করার নিয়ম চালু করতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও বেশি করে দিতে হবে।

এ জন্য দরকার হলে ছুটির দিনগুলোতে (শুক্র ও শনিবার) এবং বন্ধের বিশেষ দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সময়মতো কোর্সভিত্তিক পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিতে হবে এবং যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

আমি আশা করি এ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় আবারও প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারি। এতে সেশন জট নামক ভয়াবহ ব্যাধির হাত থেকে অনেকাংশে সেরে ওঠা সম্ভব হবে।

ইমরান ইমন: শিক্ষার্থী: ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]