সম্প্রতি ঢাকা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়ে ক্ষুধা লাগার কারণে চিড়িয়াখানা ফটকসংলগ্ন একটি হোটেলে ঢুকে দুটি পরোটা, একটি ডিমের মামলেট ও এক কাপ চা খাই। এমন সময় চিড়িয়াখানার দুই কর্মচারী বিভিন্ন জুসের দুই-তিনটা বোতল এনে খুলে দিয়ে বললেন, ‘এইগুলা খান’। আমি বললাম, ‘আমি তো এগুলো দিতে বলিনি।’
কর্মচারীরা বললেন, ‘না খেলেও আপনাকে জুসের বিল দিতে হবে, যেহেতু খুলে ফেলেছি।’ আমি বললাম, ‘আমি তো এগুলো দিতে বলিনি।’ তাঁরা বললেন, ‘হোটেলে ঢুকলে অনেক কিছু খেতে হয় জানস না ফকিরনির বাচ্চা?’
যা হোক বিল দিতে গেলাম। ক্যাশ ম্যানেজার জানালেন, আপনার বিল হয়েছে ৫০০ টাকা। আমি বললাম, ‘৫০০ টাকা কেন? আমি তো শুধু দুটি পরোটা, একটি ডিম ও এক কাপ চা খেয়েছি।’ তিনি বললেন, জুস-ফান্টা না খেলেও বিল দিতে হবে, যেহেতু খুলে ফেলা হয়েছে।
আমি মানসম্মানের ভয়ে ৫০০ টাকা বিল দিয়েই বের হয়ে এলাম এবং প্রতিজ্ঞা করলাম, জীবনে চিড়িয়াখানা এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে এসে কিছু খাব না। এমনকি চিনাবাদামও না।
ওই হোটেলে আমার সামনে এক নবদম্পতিকেও নাজেহাল করা হয়েছে। তাঁরা শুধু হাফ প্লেট করে বিরিয়ানি ও এক কাপ করে চা খেয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে বিল নেওয়া হয়েছে এক হাজার টাকা।
এটা একধরনের ছিনতাই। এ ঘটনা দিনের পর দিন ঘটে আসছে। পত্রপত্রিকায় সংবাদও হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কি কিছুই করার নেই?
কায়সার আহমেদ
রূপনগর, মিরপুর, ঢাকা।