পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ীরা পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী ছিলেন না। ১৯৬০-এর দশকে পরিবহন খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই ঢাকায় তৎকালীন ইপিআরটিসি (ইস্ট পাকিস্তান রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন) চালু করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল বাণিজ্য নয়, যাত্রীর সেবা। স্বাধীনতার পর এর নামকরণ করা হয় বিআরটিসি (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন) বা বিআরটিসি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকারি সহায়তা পাওয়া সত্ত্বেও বিআরটিসি আদর্শ বিচ্যুত হয়ে এখন সেবার পরিবর্তে বাণিজ্যকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
পরিবহন সেক্টরে বিআরটিসির অনুপস্থিতির কারণেই আজকে বেসরকারি বাস মালিক-শ্রমিকেরা যাত্রীদের হয়রানি করার সুযোগ পাচ্ছেন। বিআরটিসির বাস এখন আর বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করে না, সব বাস ইজারা দিয়েছে তারা। ইজারাদারেরা রাস্তায় বাস না চালিয়ে বিভিন্ন অফিসের কর্মচারী (স্টাফ) পরিবহন করছেন। কেননা, এতে ঝামেলা কম, আবার টাকাও বেশি। বিআরটিসির দোতলা বাসগুলো এখন সকালে আর বিকেলে মাত্র দুটো ট্রিপ মেরে সারা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। অথচ এ বাসগুলো দিনভর রাস্তায় চলাচল করলে ঢাকায় বাসসংকট থাকত না, যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়ত না।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা।