মাস্ক কোথায়

বাজারে ভিড়ের মধ্যেও মুখে মাস্ক ছাড়া দেখা যাচ্ছে অনেককে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গবেষকেরা বলছেন, বিধিনিষেধের কারণে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমেছে। বিধিনিষেধের সময় জনগণকে সচেতন করতে মাঠেঘাটে, হাটবাজারে প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিত এবং মানুষকে সচেতন করত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর কেউ আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে না, বরং মাস্ক না পরেই রাস্তাঘাটে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছে।

বিধিনিষেধের সময় মানুষ কোথাও গেলে সঙ্গে মাস্ক নিত। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীরা যাতায়াত করত। কিন্তু এখন এসবে ভাটা পড়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল করা মানেই কি করোনা চলে যাওয়া? সাধারণ জনগণের চলাফেরা দেখে তো এমনটাই বোঝা যাচ্ছে।

বিধিনিষেধের সময় মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলত। বিধিনিষেধ নেই সেই সঙ্গে কারও মুখে মাস্কও নেই। সত্যিকার অর্থে বিধিনিষেধের কারণে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলত এটা বড় কথা নয়। মূলত বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার মানুষ যাতায়াত করতে পারত না। আর বিধিনিষেধের বিশেষত হচ্ছে যে বিধিনিষেধের সময় মানুষ যখন দেখত রাস্তাঘাটে সেনা বা পুলিশের বিশেষ নজরদারি আছে, তখন ভয়ে মুখে মাস্ক লাগাত। কিন্তু কোনো স্থানেই মানুষ এখন আগের মতো মাস্ক ব্যবহার করে না। অনেকে তো মনে করে বিধিনিষেধ নেই, করোনাও নেই।

মাস্ক পরার বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। এর উপকারিতা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। মাস্ক শুধু ভাইরাসের জন্য নয়। ধুলাবালু ও দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে হলে মাস্ক অতিজরুরি।

প্রখ্যাত দার্শনিক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা বলেছেন, মানুষের ফুসফুসে যদি ধুলাবালু প্রবেশ না করত, তাহলে মানুষ হাজার বছর বেঁচে থাকত। তাই স্বাভাবিক জীবনেও মাস্কের গুরুত্ব অপরিসীম। মাস্ক পরা মানে শুধু নিজেকে বাঁচানো না। অপরকেও বাঁচানো। তাই ধরে নিতে পারি, মাস্ক পরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে।

আসাদ বিন সফিক
শিক্ষার্থী
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ