শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের দিকে তাকান

বর্তমানে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পেনশন সমর্পণকারীরা পেনশন সুবিধার আওতায় এসেছেন। কিন্তু অসহিষ্ণু পরিপত্রের মারপ্যাঁচে পেনশনধারীদের একটা বড় অংশই সুবিধাবঞ্চিত। শতভাগ সমর্পণকারী পেনশনাররা বর্তমানে ঐতিহাসিক ও ঈর্ষণীয় বেতন স্কেল পাননি। সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর কোনো সুবিধাপ্রাপ্তিতে ১৫ বছর অপেক্ষা একটা কল্পনাতীত দীর্ঘ সময়, যা মানুষের গড় আয়ুকেও অতিক্রম করে। তবে ১৫ বছর পথপরিক্রমায় অনেকের ভাগ্যে এ সুবিধা ভোগ করাটা জুটবে না। আর্থিক দৈন্যে শরীর–স্বাস্থ্য হারিয়ে করোনায় ইতিমধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ফলে ‘ফের পেনশনে অবসরপ্রাপ্তরা’ শুধু কাগজেই থেকে যাবে। জীবনসায়াহ্নে যাঁদের চিকিৎসা ও সংসার নির্বাহে অর্থের প্রয়োজন, তাঁরা হতাশা ও হাহাকারে দিন যাপন করছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুরক্ষার তাগিদে অসংখ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

প্রবীণ ও শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা এই সমাজেরই লোক। তাঁদের সুরক্ষা জরুরি। কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল এতে ক্ষতির কিছু নেই। মানুষের কল্যাণে সবই করা উচিত। শতভাগ উত্তোলিত পেনশন ৮ বছর ৪ মাসে সমন্বয় হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ১০ বছর বিধান পুনঃস্থাপন করা হলে আর্থিক ক্ষতি হবে না, বরং দুস্থ পেনশন সমর্পণকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্য দোয়া করবেন। প্রয়োজনে বকেয়া পেনশন প্রদান রহিত করা যেতে পারে।

গুটি কয়েক বেঁচে থাকা শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীর দুর্দশা লাঘবে ১৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর বিধান পুনঃস্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা।

শাহ মাহফুজুর রহমান

এসপিও (অব.)

রাকাব, জোনাল কার্যালয়, গাইবান্ধা।