সুষম পদোন্নতির কর্মক্ষেত্র চাই

প্রতীকী ছবি

প্রেরণা না থাকলে কোথাও কাজ করে শান্তি নেই। নীরস কর্ম মানুষের কাজের গতিকে হ্রাস করে দেয়। একজন ব্যক্তি তাঁর কর্মপ্রচেষ্টা তখনই সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করতে পারেন, যখন তাঁর কাজে প্রেরণা যুক্ত হয়। টাকা অর্জন, খাওয়া–পরা বাদেও আনন্দ, বিনোদন, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি একজন মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেতনের পাশাপাশি একজন ব্যক্তির দক্ষতা অর্জনের জন্য যোগ হয় পদোন্নতি বা মর্যাদা প্রদান। ঠিক সময়ে পদোন্নতি না পেলে ব্যক্তি তাঁর কর্মদক্ষতা হারাতে শুরু করেন, কারণ পদোন্নতির সঙ্গে মানসিক প্রশান্তি জড়িত, যা কর্মক্ষেত্রে দারুণভাবে প্রভাব ফেলে। আপনি বা আমি যে–ই হোন না কেন, শুধু টাকা দিয়ে মানসিক প্রশান্তি বিচার করতে পারি না। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটির ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একমাত্র প্রশাসন বিভাগ ছাড়া আর কোথাও যথাসময়ে পদোন্নতি হচ্ছে না, যাতে অন্যান্য সেক্টরের কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম হতাশা বাসা বাঁধছে। একদিকে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল তুলে দেওয়া যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতি, আবার অন্যদিকে যথাসময়ে পদোন্নতি না হওয়া। এটি মানসিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করছে, যা ইতিমধ্যে কিছু জাতীয় দৈনিকে এসেছে। তবুও এর সমাধান মিলছে না। সঠিক সময়ে পদোন্নতি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তাই সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, রাষ্ট্রের সব বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সুষম পদোন্নতি প্রদান করে রাষ্ট্রের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করুন।


টিটোন হোসেন
প্রভাষক, ধামরাই সরকারি কলেজ, ঢাকা