সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হোক

বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা) অধীনে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল-ছনুয়া সড়কের মৌলভীবাজার জলকদর খালের ওপর ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট। চুক্তিতে এই কাজের সমাপ্তি হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ধরা হলেও এখন পর্যন্ত ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে কাজটির ঠিকাদারি দেওয়া হয় চট্টগ্রামের চকবাজারের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই ২০১৭ সাল থেকে এখন ২০২০ সাল, প্রায় তিন বছর ধরে এ এলাকার জনদুর্ভোগ চলছেই। এই দুর্ভোগ ভাষায় প্রকাশ করার নয়। ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন প্রায় ২ বছর হতে চলছে, তা-ও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এই ব্রিজের ওপর নির্ভর করে আছে শেখেরখীল-ছনুয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।

এমনকি ব্রিজটির কারণে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকেরা তাঁদের কৃষিজাত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্রিজের কাজ চলার সময় পাশে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ যাতায়াতের ব্যবস্থা হিসেবে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে চলছে। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির কারণে সাঁকোটিও এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মেরামত করতে হয়েছে। এমনকি বর্তমানে তা অনেকটা পারাপারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের শেখেরখীল-ছনুয়া দুটি ইউনিয়নের বিশাল অংশের মানুষের জন্য একমাত্র হাটবাজার হচ্ছে ব্রিজের পূর্ব পাড়ের মৌলভীবাজার। বাজার-সদাই, উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা—সবই পূর্ব পাড়ে হওয়ায় শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধ, রোগী থেকে শুরু করে সবারই এই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র পারাপারের মাধ্যম। ফলে পরিস্থিতি এমন যে নিত্যদিনই ঘটছে এই বাঁশের সাঁকোতে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।

সেই সঙ্গে কোনো এক অদৃশ্য কারণে প্রায় গত মাস থেকে ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এমন অবস্থায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং তাদের সবার চাওয়া যেকোনো মূল্যে ব্রিজটির কাজ যেন অতিসত্বর সম্পন্ন করে যোগাযোগ উপযোগী করা হয়। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

নেজাম উদ্দিন, ছনুয়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।