ডুবল টাইটানিক

টাইটানিক
টাইটানিক

১৯১২ সালের এপ্রিল মাস। পরীক্ষামূলক চালুর পর টাইটানিক নামের প্রমোদতরি তখন প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রার জন্য তৈরি। জাহাজের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইট স্টার লাইন ঘোষণা করে বসল, তাদের জাহাজটি কোনো দিন ডুববে না। তাই অতিকায় জাহাজ ভ্রমণে যাত্রীও মিলল অনেক।

১০ এপ্রিল ১৯১২, দুপুরে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে শুরু হলো পশ্চিমমুখী শুভযাত্রা। আটলান্টিক মহাসাগরের বুক চিরে টাইটানিকের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পোতাশ্রয় থেকে যাত্রী তোলা হলো। তারপর কেবল অবিরাম সাগরে ছুটে চলা। কিন্তু তিন দিন পরই তা থমকে দাঁড়াল। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত। আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসতে থাকা একটি হিমশৈলের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে আরএমএস (রয়্যাল মেইল স্টিমার) টাইটানিকের। ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর রাত ২টা ২০ মিনিটে (তখন ১৫ এপ্রিল) প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও অহংকার নিয়ে টাইটানিক আটলান্টিকে তলিয়ে গেল। ঘটে গেল বিশ শতকের অন্যতম প্রধান সামুদ্রিক ট্র্যাজেডি। সেই ঘটনায় টাইটানিকের ১ হাজার ৫১৭ জন শীতার্ত যাত্রী ও ক্রু ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতার সমুদ্রজলে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

ইংরেজি টাইটানিক শব্দটির বাংলা অর্থ দানবীয়। আইরিশ প্রকৌশলী উইলিয়াম পিরির নকশায় তৈরি জাহাজটি সত্যিকার অর্থেই ছিল দানবাকৃতির। টাইটানিক দৈর্ঘ্যে ছিল ৮৮৩ ফুট, প্রস্থে ছিল ৯২.৫ ফুট। নিচের দিকের মূল কাঠামো ছিল ১৬টি অংশে বিভক্ত। তখন দাবি করা হয়েছিল, জাহাজটির প্রতিটি কাঠামো পানির জন্য দুর্ভেদ্য এবং অন্তত চারটি কুঠুরি ভেঙে পানি ঢুকে গেলেও জাহাজটি ডুববে না। তাই প্রায় ২ হাজার ২০০ যাত্রী চোখ বুজে বেছে নিয়েছিলেন জাহাজটিকে পছন্দের বাহন হিসেবে।

হিস্ট্রি ডটকম অবলম্বনে

আকিব মো. সাতিল