ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে

‘ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে, রাত দুপুরে অই/ ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে, ট্রেনের বাড়ি কই?’ ছেলেবেলায় কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতা পড়তে পড়তে এমন প্রশ্ন আমাদের শিশুমনেও কতবার জেগেছে! লোহার পাতের তৈরি সমান্তরাল দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ট্রেন কোথায় গিয়ে পৌঁছায়? অনেক বগি জড়িয়ে বিরামহীন এই যে ছুটে চলা, ওর কি ক্লান্তি নেই!

এই ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন। গোড়ার দিকে দড়ি দিয়ে ঘোড়ার সাহায্যে বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ট্রেন চালানো হতো। সময়ের পরিক্রমায় কয়লা, বাষ্পীয় ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন এবং হালে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের সাহায্যে চালিত হয় ট্রেন। আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে ট্রেনের বিকল্প হয় না। প্রকৃতির অপরূপ রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ট্রেনভ্রমণের যে আনন্দ, অন্য কিছুর সঙ্গে তার তুলনা নেই।

আজ ৯ মে, ট্রেন দিবস। মানবসভ্যতায় এই বাহনের অবদানকে স্মরণ করে পালিত হয় দিবসটি। সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আন্তনগর রেল পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমট্রাকের উদ্যোগে ২০০৮ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ও হ্যাঁ, সবশেষে একটা তথ্য দিয়ে রাখি। বাংলাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৮৬২ সালে, ব্রিটিশ শাসনামলে। দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের মধ্য দিয়ে এ দেশে বাহনটির যাত্রা শুরু হয়।

ডে’জ অব দ্য ইয়ার ডটকম অবলম্বনে
কবীর হোসাইন