এক জোড়া থেকে চার বছরে ৯ বাঘ

চার বছর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এক জোড়া বাঘ আনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তাদের নাম রাখা হয়েছিল রাজ ও পরি। চার বছরে পরিবারটির পরিধি বেড়েছে। সর্বশেষ গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন শাবকের জন্ম দেয় রাজ-পরি। বর্তমানে ওই পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৯। এর মধ্যে শুভ্রা নামে একটি সাদা বাঘও রয়েছে। আগামী আগস্টে এই শুভ্রার ঘরেও আসতে পারে শাবক।

একই পরিবারের মধ্যে ক্রস ব্রিডিং করে বাড়ানো হচ্ছে বাঘের সংখ্যা। রাজ-পরির সন্তান জয়ারও রয়েছে বাইডেন নামে একটি শাবক।

রাজ-পরি এ পর্যন্ত তিনবার বাচ্চা প্রসব করেছে। গত ৬ মে সর্বশেষ করা তিনটির মধ্যে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। এই তিনটিসহ তার সন্তানসংখ্যা এখন মোট ৬। ২০১৬ সালের নভেম্বরে রাজ ও পরিকে আনা হয়েছিল চিড়িয়াখানায়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পরি প্রথম তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। একটি পরদিন মারা যায়। বেঁচে থাকা দুটির মধ্যে একটি বিরল সাদা বাঘ, নাম শুভ্রা। অপরটির নাম জয়া। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আবার বাচ্চা প্রসব করে পরি। ওই মেয়ে শাবকের নাম দেওয়া হয়েছে করোনা। এত অল্প সময়ে বাঘের এমন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সুব্যবস্থা ও ভালো পর্যবেক্ষণই মূল কারণ বলে দাবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। বাঘ পরিবারে সদস্যদের নিজেদের মধ্যে সব সময় লেগে আছে খুনসুটি।

১ / ৯
খাঁচার ওপরে বসা শুভ্রা
২ / ৯
মা পরির সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত নতুন জন্ম নেওয়া শাবক
৩ / ৯
মা পরির সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত নতুন জন্ম নেওয়া শাবক
৪ / ৯
পানিতে নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে ব্যস্ত শুভ্রা, রাজ ও জয়া
৫ / ৯
অন্য খাঁচা থেকে শিশু শাবকদের পর্যবেক্ষণ করছেন মা
৬ / ৯
দুপুরের খাবার খেতে ব্যস্ত রাজ
৭ / ৯
মানুষ দেখলে এভাবে চিৎকার করে ভয় দেখায় ছোট শাবকেরা
৮ / ৯
সুস্থ থাকতে শাবকগুলোকে দেওয়া হচ্ছে টিকা
৯ / ৯
শাবকগুলোর সেবায় ব্যস্ত চিড়িয়াখানার এক কর্মচারী