সরকার যেদিকে যাবে, পরিস্থিতি সেদিকে ঘুরবে

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা চেয়েছিল। আজ সোমবার সে সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু কোনো ঐকমত্য হয়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের অভিমত।

নুরুল হকফাইল ছবি

আট মাস ধরে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছে। সর্বশেষ জুলাই সনদ সাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্ব চলে গেছে সরকারের কোর্টে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারবে কি না, হ্যাঁ বা না—যেটাই হোক, সেটা জানিয়ে দেওয়া দরকার। গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি আগে নাকি পরে হবে, সেটিও জানিয়ে দেওয়া দরকার সরকারের। তা না করে সরকার যে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে বলল, এটা বিবেচনাপ্রসূত বলে মনে হয়নি।

আরও পড়ুন

সবাই সংস্কার চায়, তবে এর পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এটি বড় বিভাজন নয়। বরং সংস্কার না করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সেটিতে ধাক্কা খাবে।

এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বড় দলগুলোর জোরালো অবস্থান দরকার। সংস্কার বাস্তবায়ন বিষয়ে সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার চাইলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে আলোচনা করতে পারে। দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক জায়গায় আনা ছিল সরকারের সফলতা। কিন্তু জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। জটিলতা তৈরি হয়েছে, এটা অপ্রত্যাশিত। সরকার আসলে যেদিকে যাবে, পরিস্থিতি সেদিকে ঘুরবে। সরকার নির্বাচনের তফসিলের দিকে গেলে সবাই সেদিকে যাবে। এ নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে বলে মনে হয় না। কারণ, নির্বাচন পেছালে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটি দলগুলোও জানে।

নুরুল হক: সভাপতি, গণ অধিকার পরিষদ

আরও পড়ুন