ভিসা নীতি নিয়ে ‘চাপে’ পড়লেও বলছে না আ.লীগ, বিএনপিও সতর্ক

মার্কিন পদক্ষেপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এ পরিস্থিতির জন্য এককভাবে সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করায় আওয়ামী লীগ সরকার একধরনের চাপে পড়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রকাশ্যে চাপের বিষয়টি স্বীকার করতে চান না। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার কথা বলছেন। অন্যদিকে বিএনপি এই পরিস্থিতির জন্য এককভাবে সরকারকে দায়ী করছে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে দলটি।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি অবশ্য মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ তাদের জন্য রাজনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

আরও পড়ুন

সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দেশের জন্য লজ্জাজনক। এটা যেকোনো দেশের জন্য লজ্জাজনক হবে। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দেশের জন্য লজ্জাজনক। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপের জন্য দায়ী করছেন বিএনপি ও জামায়াতকে।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের জন্য এককভাবে সরকার দায়ী। এ ঘটনা দেশের জন্য অপমানজনক ও লজ্জাজনক।

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে গত ২৪ মে। এর চার মাসের মাথায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাদানে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলের সদস্যও রয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যে সাতজনের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন পুলিশের আইজি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের জন্য এককভাবে আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। এ ঘটনা দেশের জন্য অপমানজনক ও লজ্জাজনক।
মির্জা ফখরুল ইসলাম, মহাসচিব, বিএনপি

এখানেই শেষ কি না, প্রশ্ন আওয়ামী লীগে

মার্কিন ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু হওয়া এবং আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা—অনেকটা অনুমিতই ছিল বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা না এলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়া যাবে। কিন্তু ভোটের আগে বড় আকারের আরও কোনো নিষেধাজ্ঞা এলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়তে পারে।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ একটি জিনিস নিয়েই ভাবছে, তা হচ্ছে সময়মতো নির্বাচন করা। যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ এবং বিরোধী দলের নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা, যা কিছুই হোক আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়টি রাজনীতিতে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে না, সর্বত্র এমন বার্তা দিতে চান দলটির নীতিনির্ধারকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রয়োগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘটনার প্রভাব নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাতজন নেতা ও দুজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের বেশির ভাগই প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ও দলের অবস্থান বা বক্তব্য কী হবে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে দেওয়া বক্তব্যে কিছুটা এসেছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলে দল ও সরকারের অবস্থান আরও পরিষ্কার হবে।

অবশ্য মন্ত্রী ও দলের নেতারা মনে করেন, ভিসা নীতির বাস্তব প্রভাবের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব অনেক বেশি। কারণ, কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, এটা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কে কে ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, এটা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি যাতে প্রশাসনের কোনো পর্যায়েই আতঙ্ক তৈরি না করে, সেটাও ক্ষমতাসীনদের বিবেচনায় আছে। আওয়ামী লীগের মধ্যম ও মাঠপর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও ভিসা নীতি নিয়ে কৌতূহল আছে। আবার শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মন্ত্রীদের কেউ কেউ মনে করছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা তাঁদের ওপরও আসতে পারে। এমন পরিস্থিতি একধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না।

‘নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই’

সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতর আরেকটি ভাবনা প্রবল। তাঁরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতির আওতা বাড়াবে, এমনকি নতুন নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যা-ই করুক না কেন, ভোটের আগে তাদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে যে বিষয়টি সরকারের হাতে নেই, সেটা নিয়ে সময় নষ্ট না করে বরং কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায়, সেই কৌশল ঠিক করাই উত্তম—এমন আলোচনাও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নও নিষেধাজ্ঞা বা কঠোর ব্যবস্থার পথে গেলে বিপদে পড়তে হবে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অনেকে। তাঁদের মতে, সে রকম কিছু ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে উঠবে। তবে সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করবে না।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, যথাসময়ে ভোট করা ছাড়া আওয়ামী লীগ বিকল্প কিছু ভাবছে না। ফলে নিষেধাজ্ঞা আর ভিসা নীতি যা-ই আসুক না কেন, পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। মার্কিন ভিসা নীতিসহ পশ্চিমাদের চাপ বিএনপিসহ আন্দোলনরত বিরোধী শক্তিকে কিছুটা মানসিকভাবে চাঙা করবে। তারা হয়তো রাজপথে শক্তি দেখাতে চাইবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আরেকটি ভাবনা কাজ করছে। সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে অনেককে ‘ভাগিয়ে’ আনার চেষ্টা আছে। দলটির কেউ কেউ আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাইছে। অনেকে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বেও ভুগছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরুর কারণে তাঁদের কেউ কেউ পিছু হটতে পারেন। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোরেশোরে ভোটার প্রচারের পাশাপাশি মানুষকে নির্বাচনমুখী করার বিষয়টিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বিবেচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে দলীয় কৌশল সাজানো হবে।

মানসিক শক্তি বাড়বে, তবু সতর্ক বিএনপি

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ দৃশ্যমান যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটি সরকারের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে। এর প্রভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে তাঁদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে আরও সক্রিয় হবেন বলে দলটির নেতারা মনে করছেন।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপ দেশে বিরোধী দলের আন্দোলনের পক্ষে যাচ্ছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বিদেশিরা আসলে কত দূর যাবে—সেটিও দেখার বিষয়।

বিএনপির ওই নেতা মনে করেন, ভূরাজনৈতিক কারণে এ অঞ্চলে শক্তিধর দেশগুলোর স্বার্থ তৈরি হয়েছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব, অন্যদিকে চীন, রাশিয়া ও ভারত। ভূরাজনীতিতে এসব দেশের স্বার্থের লড়াইয়ে বাংলাদেশকেও ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশকে ওই লড়াইয়ের অংশীদার করে ফেলছে। সেটা দেশের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে।

বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা এটাও বলছেন, দেশে নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানবাধিকার পরিস্থিতিও খুবই খারাপ। এর সুযোগ নিয়ে এ অঞ্চলে ভূরাজনীতির স্বার্থ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো যদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখায়, সেখানে তারা কত দূর যেতে পারে, সেটা এখনই অনুমান করা মুশকিল। সে জন্য বিএনপিও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের পদক্ষেপে সতর্ক নজর রাখছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়।’

এ পরিস্থিতির জন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, এমনটা বিএনপি মনে করছে কি না, এই প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা নীতি দিয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি।

পাল্টা অভিযোগ আওয়ামী লীগের

যুক্তরাষ্ট্র যেন নমনীয় হয়, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের দিক থেকে চেষ্টা ছিল। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হচ্ছে কি না, সেই সন্দেহ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অনেকের মধ্যে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র কত দূর যেতে পারে, এ ব্যাপারেও তাঁরা নিশ্চিত নন। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিদেশি চাপ ততই বাড়বে—এটা ধরে নিয়েই নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিদেশিদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

যে যার অবস্থানে অটল

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে যার অবস্থানে অটল। নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে দুই দলের অবস্থানে কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুই দলই রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি সংঘাতের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।