গণ অধিকার পরিষদের ঘেরাওয়ে বাধা, ইসিতে স্মারকলিপি দিলেন নেতারা
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ার প্রতিবাদে নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি মাঝপথে আটকে দিয়েছে পুলিশ। পরে দলটির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। এতে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবার ইসি ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ইসি ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি পল্টন হয়ে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট, সচিবালয়, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন ও শাহবাগ হয়ে বাংলামোটরে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসি সচিব বরাবর স্মারকলিপি দিতে যায়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল ইসলাম। এ সময় গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ও নুরে এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাশেদ খান জানান, নির্বাচন কমিশন বলেছে, পুনর্বিবেচনার জন্য তাঁরা আবেদন করতে পারেন। সেই জায়গা থেকে আবেদন জানিয়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা।
ইসি ঘেরাও কর্মসূচি শুরুর আগে পল্টনে প্রিতম-জামান টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য দেখা যায়। দুপুর ১২টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা ‘দালালির’ অনেক উদাহরণ রেখেছে।
নুরুল হক আরও বলেন, ‘সরকার ভিন্নমতের রাজনীতি করতে দিতে চায় না। এ কারণে আমাদের দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। এই কমিশন সরকারের দাস। এই দালালদের প্রতিহত করতে হবে। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দিব না।’