তিনটি সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই শীর্ষ পদে একাধিক প্রার্থী ছিলেন। নিজেদের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় কমিটি গঠনের ভার কেন্দ্রের ওপর ন্যস্ত হয়। কেন্দ্র থেকে দ্রুততর সময়ে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে যুবলীগের সভাপতি ফজলে শামস তখন ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান বলেন, ‘দিনক্ষণ বলতে পারছি না। তবে যথাসম্ভব দ্রুততর সময়ে কমিটি দুটি ঘোষণা করা হবে।’ মইনুল হোসেন খান মনে করেন, নির্বাচন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিগুলো দরকার।
মাসখানেক আগে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি আংশিক ঘোষণা করা হয়েছে।যুবলীগের নগর কমিটির সভাপতি পদের জন্য ২৮ জন প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদকের জন্য ৬৫ জন প্রার্থী তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছেন।
উত্তর জেলা যুবলীগের সবশেষ কমিটি হয় ১৯ বছর আগে। এবার সম্মেলনে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী ছিলেন। পদপ্রত্যাশীরা যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে চেষ্টা–তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এখনো।
ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আগের কমিটিগুলো বিলুপ্ত করে দেওয়ায় চট্টগ্রামে এখন কার্যত যুবলীগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে পদপ্রত্যাশীরা বিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষেও বিচ্ছিন্ন কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা মেনে নেব। পদপ্রত্যাশী এবং আগের কমিটির নেতারা বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি এখন নিচ্ছেন। তবে কমিটি ঘোষণা করা হলে তা আরও জোরালো ও গোছানোভাবে হবে।’
জানতে চাইলে নগর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী এম আর আজিম বলেন, সবার প্রত্যাশা, কমিটি হবে দ্রুততর সময়ে। কমিটি হলে সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেক গতিশীল হবে।
চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১৩ সালে। ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি এবং একই কমিটির দুই যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও ফরিদ মাহমুদ এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। মে মাসে অনুষ্ঠিত যুবলীগের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম তুলে দেওয়া হয়।