সিন্ডিকেট মুক্ত না হলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না: বাম গণতান্ত্রিক জোট

আমদানি করা পণ্য কয়েকজন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। তাঁদের হাত থেকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

জোটের নেতারা বলছেন, এ জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানি ও সুনির্দিষ্ট দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন রেশনব্যবস্থা ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

বাম জোটের সভায় বক্তারা পাচার করা টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ আদায়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা মনে করেন চলমান শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া এসব লুটেরাদের পরাস্ত করা যাবে না। এ জন্য বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি আদায় করতে হবে।

বাম জোটোর নেতারা দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ভুল নীতির কারণে এই খাত শুধু দেশের অর্থনীতি ও ব্যক্তির বোঝা বাড়াচ্ছে।

স্থল ও সমুদ্রভাগের গ্যাস যথাযথভাবে অনুসন্ধান উত্তোলনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর খাতে পরিণত করা হয়েছে বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলছেন, এসব সম্পদের ওপর দেশের জনগণের শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিদেশি কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে।