যারা মন্দির-প্রতিমা ভাঙচুর করে তারা ‘নরকের কীট’: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যারা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়, তারা ‘নরকের কীট’।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যেসব মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই সড়কের পাশে। রাতে সাধারণত টহল পুলিশ থাকে। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। তাদের গাফিলতিতে দুর্বৃত্তরা অনায়াসে এত বিপুলসংখ্যক মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাতে পেরেছে বলে সাধারণের ধারণা। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বিবৃতিতে আরও বলেন, এসব ঘটনা ঘটিয়ে সম্প্রীতির বন্ধনকে বিনষ্ট করে একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। যখনই হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি-সম্পদ, বাড়ি, ব্যবসা দখল, মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বালিয়াডাঙ্গীর ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা নিরপেক্ষ তদন্ত করে খুঁজে বের করতে হবে। তবে এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত নিরীহ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়েও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, ১২টি মন্দিরের ভাঙচুর হওয়া ১৪টি প্রতিমা সরকারি খরচে প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ৮টি, পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩টি ও চাড়োল ইউনিয়নের একটি মন্দিরের ওই ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙচুরের ঘটনাটি দেখতে পান।