তিনি বিশ্বাস করতেন, তরুণেরাই পৃথিবী পাল্টাবে

হায়দার আকবর খান রনোর স্মরণসভায় বক্তারা। আর সি মজুমদার মিলনায়তন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৬ মে, ২০২৫
ছবি: প্রথম আলো

তাঁর মধ্যে ছিল ভয়াবহ ধরনের ‘উদ্যম’। তিনি বিশ্বাস করতেন, তরুণেরাই পৃথিবী পাল্টাবে। নিজের আদর্শের প্রতি, নিজের বিশ্বাসের প্রতি তাঁর ছিল ‘সততা’। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি নিজের বিশ্বাসের জায়গাগুলোতে অটুট ছিলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা বিশিষ্ট বাম রাজনীতিক, তাত্ত্বিক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর স্মরণসভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন। রনো এ সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন।

হায়দার আকবর খান রনো
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

স্মরণসভায় হায়দার আকবর খানের মেয়ে রানা সুলতানা বলেন, ‘তিনি শুধু বাবা ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমার কমরেড। আমরা সবাই যেন আমার বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’

হায়দার আকবর খানের স্মৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘হায়দার আকবর ছিলেন পড়ুয়া, জ্ঞানী, নিষ্ঠাবান, সাহসী, বলিষ্ঠ নেতা। আগামী দিনে যারা এই পথে লড়াই করবে, তাদের সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তরুণ অধিকারকর্মী তুহিন খান বলেন, তাঁর জীবন থেকে দলমত–নির্বিশেষে সবার বড় শিক্ষা নেওয়ার বিষয় আছে। তাঁর মধ্যে ছিল ভয়াবহ ধরনের উদ্যম। নিজের আদর্শের প্রতি, নিজের বিশ্বাসের প্রতি, নিজের অবস্থানের প্রতি তাঁর ছিল ‘সততা’।

রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, ‘আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে তাঁর সংস্পর্শে কিছুদিন থাকতে পেরেছিলাম। তিনি বিশ্বাস করতেন, তরুণেরাই পৃথিবী পাল্টাবে এবং এই পৃথিবী পাল্টে দেওয়ার জন্য তরুণের শক্তি অসীম। এ জন্য তিনি তরুণদের অসম্ভব পছন্দ করতেন। বন্ধুসুলভ আচরণ করেছেন তরুণদের সঙ্গে। তিনি শেষ দিন পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছেন।’

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন