সংসদ সদস্যদের মুখোমুখি আওয়ামী লীগের নেতারা

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্ব। সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলা। নেতারা বলছেন, দল দুর্বল হচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পান ইউসুফ গাজী। জেলা আওয়ামী লীগের এই সহসভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য দীপু মনির পক্ষে রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে চেক জালিয়াতি মামলায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইউসুফ গাজীর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের একটি অংশ শুরু থেকেই জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওচমান গণি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তবে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি তাঁর প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী ছিলেন। ২০১৪ সালের ভোটের পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

আরও পড়ুন

দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের তীব্র মতবিরোধ রয়েছে।

প্রায় একই চিত্র জেলার অন্য চারটি সংসদীয় আসনেও। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্বের কারণে সংঘাত ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটছে। একাধিক উপজেলায় একটি দুটি নয়, অন্তত চারটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করছে।

নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে উপদল তৈরি হওয়ায় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে প্রতিপক্ষ মনে করছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হামলা, পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনাগুলোতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

দীপু মনি বনাম জেলা আওয়ামী লীগ

২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে চাঁদপুর পৌরসভার তৎকালীন মেয়র নাসির উদ্দিন আহমেদ সভাপতি ও আবু নঈম পাটোয়ারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০২০ সালেও চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নাসির উদ্দিন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান। নাসির উদ্দিনের অনুসারীদের অভিযোগ, দীপু মনি পৌর নির্বাচনের আগে থেকেই জিল্লুর রহমানের পক্ষ নেন এবং তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে আমার কর্মসূচিতে আসেন না। কী কারণে আসেন না, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।
দীপু মনি, শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ

কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দীপু মনি জেলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাদের বেশি প্রাধান্য দেন। চাঁদপুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে এসব নেতাই তাঁর সঙ্গে থাকেন। এ কারণে জেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।

গত এপ্রিলে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দুর্নীতি, পদ্মা-মেঘনার অবৈধ বালু উত্তোলন ও খাসজমি নিয়ে অনিয়মের ঘটনাগুলোতে শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম আসে। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বিরোধিতা করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে আমার কর্মসূচিতে আসেন না। কী কারণে আসেন না, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে আবু নঈম পাটোয়ারী বলেন, তাঁরা (শিক্ষামন্ত্রীর সমর্থকদের উদ্দেশে) বিতর্কিত কাজ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগ সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম খানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। অথচ তাঁরা এখনো তাঁকে (সেলিম খান) প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে সেলিম খানকে জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দীপু মনি।

আওয়ামী লীগ বনাম ‘উন্নয়ন লীগ’

চাঁদপুর-৫ আসনের (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সঙ্গে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মো. ময়নুদ্দিনের দূরত্ব তৈরি হয় তিন বছর আগে। তখন তিনি ‘উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটির পৃষ্ঠপোষক রফিকুল ইসলাম।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের পর সংসদ সদস্যের সঙ্গে গাজী ময়নুদ্দিনের বিরোধের কারণে ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে যথাক্রমে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব করে নতুন কমিটি করা হয়।

তাঁরা (শিক্ষামন্ত্রীর সমর্থকদের উদ্দেশে) বিতর্কিত কাজ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
আবু নঈম পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে সংসদ সদস্যের পক্ষের নেতা-কর্মীরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী ময়নুদ্দিন উন্নয়ন কমিটির বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তাঁরা একে বলছেন, ‘উন্নয়ন লীগ’।

হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী দাবি করেন, দলের সঙ্গে সংসদ সদস্যের সম্পর্ক নেই। অবশ্য সংসদ সদস্যের পক্ষের নেতা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ মনির বলেন, রফিকুল ইসলাম দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন করেন। গাজী ময়নুদ্দিন দলের পদ ব্যবহার করে অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন। বিষয়টি সংসদ সদস্য পছন্দ করেননি।

গাজী ময়নুদ্দিন অবশ্য উল্টো অভিযোগ করেন, উন্নয়ন কমিটির নামে সংসদ সদস্যের পক্ষে কিছু নেতা টিআর-কাবিখাসহ তাঁর উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন।

হাজীগঞ্জের মতো শাহরাস্তিতেও উন্নয়ন কমিটি নিয়ে দলের সঙ্গে সংসদ সদস্যের টানাপোড়েন রয়েছে।

শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বলেন, সংসদ সদস্য দলকে এড়িয়ে ‘উন্নয়ন লীগ’ তৈরি করেছেন। তাঁর সঙ্গে এ জন্য নেতা-কর্মীরা নেই।

জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি অনেক জায়গায় আছে। উন্নয়নমূলক কাজগুলো সমন্বয় করবে তারা। তবে উন্নয়ন কমিটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জবাব দেননি।

কচুয়ায় কমিটি নিয়ে বিতর্ক

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদের বিরোধ রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন দুজনই সেলিম মাহমুদের পক্ষে।

কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের তারিখ ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এর দুই দিন আগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়। আইয়ুব আলী পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী পৌর কমিটি করার দায়িত্ব উপজেলা কমিটির। কিন্তু তাঁরা কিছুই জানেন না।

সেলিম মাহমুদ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়মতান্ত্রিকভাবে দল চালাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। কোনো সংসদ সদস্যের সিদ্ধান্তে দল নিয়ন্ত্রিত হবে, এটা কাম্য নয়।

তবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দাবি, ঘোষিত তারিখেই সম্মেলন হয়েছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন অনুষ্ঠানের ভেতরে না এলেও বাইরে অবস্থান করেছিলেন। কাউন্সিলরদের চাপ থাকায় সম্মেলন হয়েছিল।

মতলবে পাল্টাপাল্টি মামলা

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল আমিনের সঙ্গে সাবেক ত্রাণমন্ত্রী, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর (মায়া)। উভয় পক্ষের সমর্থকের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত বছরের ২ অক্টোবর মতলব দক্ষিণে সংসদ সদস্য নুরুল আমিনের কর্মী ও অনুসারীদের ৩০টি প্রাইভেট কার ও সভামঞ্চ ভাঙচুর করেন মায়ার কর্মীরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে।

৩ অক্টোবর মতলব উত্তরের সুজাতপুরে একটি মারামারির ঘটনাকে ঘিরে মতলব উত্তরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ ও মিজানুর রহমান এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল সরকারসহ ১৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদপুরের আদালতে মামলা করেন উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির মোল্লা।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, মনির মোল্লা সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেনের সমর্থক। তাঁর ও তাঁর ছেলে সাজেদুল হোসেন ওরফে দীপু চৌধুরীর নির্দেশে তাঁদের মামলার আসামি করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (মোফাজ্জল হোসেন) এখনো নেতিবাচক রাজনীতি করেন। চর দখলের মতো সবকিছু দখল করে রাখতে চান।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর পক্ষে ছেলে সাজেদুল হোসেন গতকাল শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল আমিন সংসদ সদস্য হওয়ার পর তাঁদের পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরাই বেশি মামলার শিকার হয়েছেন। আর মনির মোল্লাকে মামলা করার নির্দেশ তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।

ফরিদগঞ্জে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব

চাঁদপুর-৪ আসনে (ফরিদগঞ্জ) সংসদ সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার দ্বন্দ্ব পুরোনো।

এ দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর। শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে জাহিদুলের সমর্থকদের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাহিদুল ইসলাম শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আত্মীয়।

দলীয় সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এই কমিটিতে জাহিদুলের লোকজনের প্রাধান্য পাওয়ায় শফিকুর রহমানের পক্ষ পাল্টা কমিটি দেয়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু শাহেদ সরকার অভিযোগ করেন, তিন পক্ষই দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করায় তাঁরা ঠিকমতো দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারেন না।

সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দলে কিছু লোক আছেন, যাঁরা উল্টাপাল্টা কাজ ও কথাবার্তা বলেন। এসবে তিনি পাত্তা দেন না।

চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছেন দলের জেলা সভাপতি নাসির উদ্দিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দ্বন্দ্বের কারণে দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়েছে। তবে গ্রুপিংয়ের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ দায়ী নয়। প্রভাবশালী নেতারা নিজস্ব প্রভাব বিস্তারের জন্যই কোন্দল জিইয়ে রেখেছেন।